রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দেশের ৫৫টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে আয়জিত সংবাদ সম্মেলনে সন্তোষ প্রকাশ করেন ইসি সচিব মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খন্দকার।
৫৫টি পৌরসভায় নতুন মেয়র নির্বাচিত হলেন যারা- বান্দরবানে নৌকার প্রার্থী মোঃ ইসলাম বেবী, রাজশাহীর তাহেরপুরে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের পাটোয়ারী,পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌকার প্রার্থী বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, ঠাকুরগাঁও সদরে আওয়ামী লীগের আঞ্জুমান আরা বেগম, রাণীশংকৈলে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, শেরপুর সদরে আওয়ামী লীগের গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, শেরপুরের শ্রীবরদীতে নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী লাল মিয়া, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা কাজল, রাঙামাটিতে নৌকা প্রতীকের আকবর হোসেন চৌধুরী, রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগের ইমরুল হক, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে নৌকার প্রার্থী মুছলেহ উদ্দিন, নাটোরের বড়াইগ্রামে নৌকার প্রার্থী মাজেদুল বারী নয়ন, বাগেরহাট সদরে আওয়ামী লীগের খান হাবিবুর রহমান, নেত্রকোনা সদরে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম খান, যশোরের চৌগাছায় নৌকার প্রার্থী নুর উদ্দিন আল মামুন, ময়মনসিংহের ফুলপুরে আওয়ামী লীগের শশধর সেন, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আশরাফ, যশোরের বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের কামরুজ্জামান বাচ্চু, চাঁদপুরের কচুয়ায় আওয়ামী লীগের নাজমুল আলম স্বপন, ফরিদপুরের নগরকান্দায় আওয়ামী লীগের নিমাই চন্দ্র সরকার, মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিমে নৌকার প্রার্থী আব্দুস ছালাম, জয়পুরহাটের কালাইয়ে আওয়ামী লীগের রাবেয়া সুলতানা, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আওয়ামী লীগের আব্দুল কাইয়ুম খোকন, নরসিংদীর মাধবদীতে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেন প্রধান, টাঙ্গাইলের গোপালপুরে আওয়ামী লীগের রকিবুল হক ছানা ও কালিহাতীতে আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আওয়ামী লীগের সৈয়দ মুনিরুল ইসলাম, নোয়াখালীর চাটখিলে আওয়ামী লীগের মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে আওয়ামী লীগের এম এম মেজবাহ উদ্দিন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আওয়ামী লীগের হাসান কাদির গনু ও জীবননগরে আওয়ামী লীগের রফিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদরে বিএনপির প্রার্থী তাজকীন আহমেদ চিশতী, রাজবাড়ী সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর শেখ তিতু ও গোয়ালন্দে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম মন্ডল, লালমনিরহাট সদরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম স্বপন ও পাটগ্রামে আওয়ামী লীগের রাশেদুল ইসলাম সুইট, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক বাবু, ময়মনসিংহের ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিসুজ্জামান আনিস, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আওয়ামী লীগের শহিদুল আলম, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে আওয়ামী লীগের নুরুল হক চৌধুরী এবং সিলেটের কানাইঘাটে আওয়ামী লীগের লুৎফুর রহমান।
করোনা মহামারির কারণে এবার পাঁচ ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে চারটি ধাপের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলো। চতুর্থ ধাপের ৫৫টি পৌরসভা নির্বাচনে ২২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া ৫১০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ২০৯৯ জন এবং ১৭০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ৬২৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
গেল ২৮ ডিসেম্বর ২৪টি পৌরসভায় প্রথম ধাপে, ১৬ জানুয়ারি ৬০টি পৌরসভায় দ্বিতীয় ধাপে, ৩০ জানুয়ারি ৬২টি পৌরসভায় তৃতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পঞ্চম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।