সারাদেশে চলছে টিকাদান কর্মসূচি

  • Update Time : ১২:৪৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 148

আতঙ্কের মধ্য দিয়ে মহামারির প্রায় এক বছর পার করার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা টিকাদান কর্মসূচি। ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি। দিনের শুরুতেই রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে টিকা নিচ্ছেন সরকার ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। সারাদেশের মোট ১ হাজার ৫টি হাসপাতালে চলছে এই কর্মসূচি।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে করোনা টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনের শুরুতেই টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে একে একে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন টিকা নেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে প্রথম দিন টিকা নেবেন মোট ১৬২ জন।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা টিকা নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরাসহ তিন বিচারপতি। টিকা নেয়া অন্য দুই বিচারপতি হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও একই বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সকাল ৯টার দিকে বিএসএমএমইউয়ে তারা টিকা নেন।

টিকা নিতে ইতোমধ্যে তিন লাখ ২৮ হাজার জন নিবন্ধন করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকা নেয়ার পর অন্যরা পর্যায়ক্রমে টিকা পাবেন। তবে প্রথম ধাপে ১৫ ক্যাটাগরির মানুষ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

রোববার দিনের শুরুতে প্রধান বিচারপতি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) ও হাসপাতালে টিকা নেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব টিকা নিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি কেন্দ্রে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, বিভিন্ন জেলায় এবং বিভিন্ন জায়গায় সংসদ সদস্যরা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় যেসব গণ্যমান্য ব্যক্তি আছেন তারা ওই সব কেন্দ্রে সম্পৃক্ত থাকবেন। তারা নিজেরা টিকা নেবেন ও কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন।

বেলা সাড়ে ১০টায় নিজেই টিকা নিয়ে চট্টগ্রামে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নিজে টিকা নিয়ে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সকাল ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি টিকা নেন।

রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৫০টি এবং বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্য়ায়ে ৯৫৫টিসহ সর্বমোট ১ হাজার ৫টি সরকারি হাসপাতাল, মাতৃসদন ও ক্লিনিকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। টিকাদান করতে রাজধানী ঢাকায় ২০৪টি দলসহ সারাদেশে ২ হাজার ৪০০ দল কাজ করছে। প্রতি দলে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবীসহ ছয়জন সদস্য রয়েছেন। প্রতি দলের টার্গেট দৈনিক ১৫০ জনকে টিকা দেয়া। সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সারাদেশে চলছে টিকাদান কর্মসূচি

Update Time : ১২:৪৫:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

আতঙ্কের মধ্য দিয়ে মহামারির প্রায় এক বছর পার করার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা টিকাদান কর্মসূচি। ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকাদানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর আজ (৭ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি। দিনের শুরুতেই রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে টিকা নিচ্ছেন সরকার ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। সারাদেশের মোট ১ হাজার ৫টি হাসপাতালে চলছে এই কর্মসূচি।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে করোনা টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধনের শুরুতেই টিকা নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে একে একে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন টিকা নেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালটিতে প্রথম দিন টিকা নেবেন মোট ১৬২ জন।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা টিকা নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জিনাত আরাসহ তিন বিচারপতি। টিকা নেয়া অন্য দুই বিচারপতি হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও একই বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সকাল ৯টার দিকে বিএসএমএমইউয়ে তারা টিকা নেন।

টিকা নিতে ইতোমধ্যে তিন লাখ ২৮ হাজার জন নিবন্ধন করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকা নেয়ার পর অন্যরা পর্যায়ক্রমে টিকা পাবেন। তবে প্রথম ধাপে ১৫ ক্যাটাগরির মানুষ টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

রোববার দিনের শুরুতে প্রধান বিচারপতি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) ও হাসপাতালে টিকা নেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব টিকা নিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি কেন্দ্রে।

শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, বিভিন্ন জেলায় এবং বিভিন্ন জায়গায় সংসদ সদস্যরা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় যেসব গণ্যমান্য ব্যক্তি আছেন তারা ওই সব কেন্দ্রে সম্পৃক্ত থাকবেন। তারা নিজেরা টিকা নেবেন ও কার্যক্রমে সহযোগিতা করবেন।

বেলা সাড়ে ১০টায় নিজেই টিকা নিয়ে চট্টগ্রামে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নিজে টিকা নিয়ে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সকাল ১০টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি টিকা নেন।

রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ৫০টি এবং বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্য়ায়ে ৯৫৫টিসহ সর্বমোট ১ হাজার ৫টি সরকারি হাসপাতাল, মাতৃসদন ও ক্লিনিকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। টিকাদান করতে রাজধানী ঢাকায় ২০৪টি দলসহ সারাদেশে ২ হাজার ৪০০ দল কাজ করছে। প্রতি দলে দুজন স্বাস্থ্যকর্মী ও চারজন স্বেচ্ছাসেবীসহ ছয়জন সদস্য রয়েছেন। প্রতি দলের টার্গেট দৈনিক ১৫০ জনকে টিকা দেয়া। সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

টিকা নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।