শুরু হলো ৪০ পাঠাগারের যাত্রা
- Update Time : ১০:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / 139
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঠাগারগুলো উদ্বোধন করেন এবং পাঠাগার প্রতিনিধিদের হাতে জাপাআ-এর সদস্য সনদ ও ৪০টি করে বই তুলে দেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি সচেতন পরিবারেরই উচিত একটি পারিবারিক পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা। মুক্ত জ্ঞান চর্চার উন্মুক্ত মাধ্যম হলো পাঠাগার অথচ সমাজে সবই আছে, কিন্তু একটি পাঠাগারই নেই। পাঠাগারের এই অভাব বোধ যেন কারো মাঝে কাজ করছে না। আমরা প্রতিটি গ্রামে অন্তত একটি করে পাঠাগার গড়ার মাধ্যমে বই পড়া আন্দোলনকে প্রতিটি ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিতে চাই। এরই মধ্যে ৬৪ জেলাতে আমরা পাঠাগার গড়েছি। আজও সারাদেশে ৪০টি নতুন পাঠাগার উদ্বোধন করেছি। এভাবে একদিন গ্রামে গ্রামে পাঠাগার গড়ে তুলতে পারবো।
প্রধান অতিথি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে জাতীয় পাঠাগার আন্দোলনের যে লড়াই, সে লড়াই টিকিয়ে রাখতে হলে সরকার ও আমাদের জোরালো সমর্থন থাকা দরকার। সরকার এরই মধ্যে তাদের সমর্থন দিয়েছেন, আমরাও তাদের সাথে আছি। তাদের আর্থিক সহায়তার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, যে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাগার নেই, তাদের এমপিও বাতিল করা হোক। আর পাঠাগার ছাড়া কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন নতুন করে এমপিও না করা হয় সেজন্য সরকারকে অনুরোধ করছি।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এম এন জামান বলেন, পাঠাগার আন্দোলন এই সময়ের জন্য রেনেসাঁ। মেঠোপথ থেকে সমাজের জন্য আজকে যেসকল তরুণরা ছুটে এসেছেন রাজধানীতে, তারাই জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণ করবেন আগামীতে।
পরিবেশবিদ প্রফেসর কামারুজ্জাম মজুমদার বলেন, যে বই মানুষকে পথ দেখায়, অথচ সেই বই থেকে আমরা আজ অনেকটা দূরে। পাঠাগার আন্দোলন বই ও পাঠকের মধ্যে এই দূরত্ব অনেকটা গোছাবে বলে মনে করছি।