বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অনন্য কীর্তিমান তিনি। সাহিত্য, সাংবাদিকতা উজ্জ্বল। জহির রায়হান। মাত্র ৩৬ বছরের জীবনে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। স্বাধীন দেশে নিখোঁজ সহোদর শহীদুল্লাহ কায়ছারকে খুঁজতে গিয়ে নিজেই যান অজানার দেশে। তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে যা আজও অধরা। আজ দেশ সেরা এই নির্মাতার ৪৯তম প্রয়াণ দিবস।
.
এদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের অনন্য ব্যক্তিত্ব, লেখক, সাংবাদিক জহির রায়হান। একই সঙ্গে কলম আর সেলুলয়েড দিয়ে পাকিস্তানের দুঃশাসনের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলেন জহির রায়হান।
.
চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়েই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন পাকিস্তান আমলে দমন নিপীড়ন আর শোষিত বাঙালির বন্দী জীবনের প্রতিচ্ছবি। স্টপ জেনোসাইডের মতো তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বাঙালি নিধনের চিত্র উন্মোচন করে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত গড়ে তোলেন তিনি।
জহির রায়গহানের ‘জীবন থেকে নেয়া’ এদেশের সিনেমার ইতিহাসে হয়ে আছে অনন্য সৃষ্টি।
লোকসংস্কৃতি থেকে নেয়া কাহিনির চলচ্চিত্র- বেহুলা নির্মাণ করে জহির রায়হান এদেশের সিনেমার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন।
কাচের দেয়াল, সঙ্গমের মতো চলচ্চিত্রের পাশাপাশি হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী, আর কতদিন, শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফালগুনের মমো উপন্যাস লিখেছেন তিনি।
একুশে পদক, স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননায় ভূষিত জহির রায়হান।