ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৭৭৮ রোহিঙ্গা
- Update Time : ০৪:২৩:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১
- / 139
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছেছে। শুক্রবার বেলা ১টার পর নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছে রোহিঙ্গাদের দলটি।
এর আগে শুক্রবার সকালে বোট ক্লাব থেকে জাহাজগুলো ছেড়ে যায়। রোহিঙ্গাদের এই দলে এক হাজার ৭৭৮ জন রয়েছেন।
রোহিঙ্গারা জানায়, সুযোগ-সুবিধার কথা জেনেই ভাসানচরে গেছেন তারা। ক্যাম্পের আরও অনেকেই যেতে আগ্রহী।
গতকাল বৃহস্পতিবার উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে কয়েক ধাপে ৩৫টি বাসে করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয় তারা। তাদের মালপত্র বহনের জন্য এই বহরে ছিল আরো কয়েকটি ট্রাক।
বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিনে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রস্তুতি রয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট রোহিঙ্গা শিবিরের কর্মকর্তা (ইনচার্জ) মো. রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, স্বেচ্ছায় ছয় শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামে গেছে।
এদিকে শুক্রবার কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ভাসানচর পাঠাতে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে তৃতীয় দফার দ্বিতীয় দিনে রোহিঙ্গাদের বহনকারি ১৮টি বাস ছেড়েছে। এতে অন্তত সাড়ে ৯শ’ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস রওনা হয়েছে বলে জানান স্থানীয় মুদির দোকানি আবুল কালাম।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ভাসানচরে যায় এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম যাত্রায় এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গা ভাসানচরে গেছে। আগে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র উপকূলে আটক আরো তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে রাখা হয়েছিল।
উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা ভাসানচরের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়ে স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।