ভাগ্যের চাকায় থালা! ছেলেদের স্কুলে মেয়ের নাম, ভর্তি প্রায় অনিশ্চিত
- Update Time : ০৬:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১
- / 156
কক্সবাজার প্রতিনিধি :
প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলেও এই বারেই প্রথম লটারির মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে সরকারি। সেই সুযোগটা কারো জন্য আর্শিবাদ হলেও আবার কারো জন্য অভিশাপ হিসেবে ধরা দিচ্ছে এইবারেই।
.
উ ছেনু রাখাইন (১৩) সবেই মাত্র প্রাইমারি টপকিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠার জন্য ভর্তির আবেদন করছিলো কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। যার রেজিস্ট্রেশন নং-২০০৯২২২৬৬০৮০৯৪৫৩৮। কিন্তু লটারিতে তার নাম এসেছে কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে মর্নিং শিফটে।
.
ছেলেদের স্কুলে মেয়ের নাম আসায় সরকারি স্কুলে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছোট্ট মেয়েটির। এ অবস্থায় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েই তার ভর্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে যাচ্ছে তাঁর পরিবার।
.
জানা গেছে, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করেন উ ছেনু রাখাইনের মা হ্লা হ্লা ওয়ান। কিন্তু গত ১১ জানুয়ারী মন্ত্রণালয়ের লটারিতে তার নাম চলে আসে ছেলেদের স্কুলের তালিকায় কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে।
.
বালক স্কুলে বালিকার নাম আসায় বিষয়টি নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। লটারিতে নাম আসায় উ ছেনু রাখাইনের মা হ্লা হ্লা ওয়ান তাঁর মেয়েকে বালক বিদ্যালয়েই ভর্তি করাতে চাইলে স্কুল কর্তৃপক্ষ অপরাগতা জানান।
.
অপরদিকে এ বিষয়ে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও উ ছেনু রাখাইনের পরিবারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এ নিয়ে তাদের করার কিছু নেই। মেয়েটি এ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না। উ ছেনু রাখাইনের মা হ্লা হ্লা ওয়ান বলেন, আমি একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে অনলাইনে ফরম পূরণ করেছি। সেখানে কোনো ভুল ছিল না। আমার মেয়ের নামও লটারিতে উঠেছে। তাই মেয়েকে ভর্তি করাতে আমি জেলা প্রশাসক ও প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চাই।
.
কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। আবেদনকারী অভিভাবকের আরও সচেতন হওয়ার উচিত ছিল। বিষয়টি এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমাধান করতে পারবেন। কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন বলেন, আমাদের স্কুল ছেলেদের। এখানে মেয়েদের ভর্তির সুযোগ নেই। তাছাড়া এটি আমাদের কোনো ভুল না। আবেদনকারীর অভিভাবকরা ভুল করতে পারেন।
.
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
Tag :
Please Share This Post in Your Social Media
- সর্বশেষ
- পাঠক প্রিয়