যুক্তরাজ্যফেরত ৩৯ জন নিজ খরচেই কোয়ারেন্টাইনে

  • Update Time : ০৭:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / 156
নিজস্ব প্রতিবেদক: 

নতুন বছরের প্রথম তিন দিনে (১, ২ ও ৩ জানুয়ারি) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৬টি ফ্লাইটে সাত হাজার ৪৪৮ জন যাত্রী বিদেশ ফিরেছেন। এই সময়ে ৪১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যফেরত ৩৯ জন নিজ খরচে হোটেলে নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন। অপর দুইজন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পূর্ব ঘোষণা অনুসারে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারা ইচ্ছে করলে সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি ও আশকোনা) কিংবা নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত সাতটি হোটেলের এককটিতে ১৪দিন থাকতে পারবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের কেউ সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ওঠেননি। তারা সকলেই নিজ খরচে আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। জানা গেছে, দৈনিক সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাড়ার একটি হোটেলে বেশিরভাগ যাত্রী উঠেছেন। অনেকেই সুস্থতার সনদ সঙ্গে নিয়ে আসায় এবং করোনার কোনো ধরনের লক্ষণ না থাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার বায়না ধরছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রত্যেকের বাধ্যতামূলক ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ছাড় দিতে নারাজ।

১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৩টি ফ্লাইটে চার হাজার ৬৭ জন দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মোট ১৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। ১৯ জনের মধ্যে ১৮ জনই যুক্তরাজ্যফেরত। অপরজন আবুধাবিফেরত।

২ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৩টি ফ্লাইটে তিন হাজার ৩৮১ জন যাত্রী এসেছেন। তাদের মধ্যে ২২ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। ২২ জনের ২১ জন যুক্তরাজ্য ফেরত এবং একজন আবুধাবিফেরত।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হয় এমন যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। এখন খুবই সীমিত সংখ্যক যাত্রী আসছেন। তাদের সিংহভাগই যুক্তরাজ্যফেরত।’

তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দেখা দেয়ায় এর সংক্রমণরোধে তৎপর হয়েছে সরকার। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য থেকে আগত যাত্রীদের প্রতি নজরদারি বেশি করা হচ্ছে। বেবিচক ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটের পর থেকে যেকোনো দেশ থেকে আসলেই তাকে ১৪ দিনের বাধ্যমূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর বাধ্যবাধ্যতা বেঁধে দিয়েছে। তবে আগে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে রাখা হলেও এখন যাত্রীদের নিজ খরচে সাতটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত দুই দিনে ৩৯ যাত্রী নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন বলেও জানান তিনি।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


যুক্তরাজ্যফেরত ৩৯ জন নিজ খরচেই কোয়ারেন্টাইনে

Update Time : ০৭:০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জানুয়ারী ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক: 

নতুন বছরের প্রথম তিন দিনে (১, ২ ও ৩ জানুয়ারি) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৬টি ফ্লাইটে সাত হাজার ৪৪৮ জন যাত্রী বিদেশ ফিরেছেন। এই সময়ে ৪১ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যফেরত ৩৯ জন নিজ খরচে হোটেলে নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন। অপর দুইজন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পূর্ব ঘোষণা অনুসারে ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তারা ইচ্ছে করলে সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি ও আশকোনা) কিংবা নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত সাতটি হোটেলের এককটিতে ১৪দিন থাকতে পারবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের কেউ সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ওঠেননি। তারা সকলেই নিজ খরচে আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। জানা গেছে, দৈনিক সাড়ে তিন হাজার টাকা ভাড়ার একটি হোটেলে বেশিরভাগ যাত্রী উঠেছেন। অনেকেই সুস্থতার সনদ সঙ্গে নিয়ে আসায় এবং করোনার কোনো ধরনের লক্ষণ না থাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার বায়না ধরছেন। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রত্যেকের বাধ্যতামূলক ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত ছাড় দিতে নারাজ।

১ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ২ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৩টি ফ্লাইটে চার হাজার ৬৭ জন দেশে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে মোট ১৯ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। ১৯ জনের মধ্যে ১৮ জনই যুক্তরাজ্যফেরত। অপরজন আবুধাবিফেরত।

২ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৩ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৩টি ফ্লাইটে তিন হাজার ৩৮১ জন যাত্রী এসেছেন। তাদের মধ্যে ২২ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। ২২ জনের ২১ জন যুক্তরাজ্য ফেরত এবং একজন আবুধাবিফেরত।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘বিমানবন্দরে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাতে হয় এমন যাত্রীর সংখ্যা কমে গেছে। এখন খুবই সীমিত সংখ্যক যাত্রী আসছেন। তাদের সিংহভাগই যুক্তরাজ্যফেরত।’

তিনি জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন দেখা দেয়ায় এর সংক্রমণরোধে তৎপর হয়েছে সরকার। বিশেষ করে যুক্তরাজ্য থেকে আগত যাত্রীদের প্রতি নজরদারি বেশি করা হচ্ছে। বেবিচক ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটের পর থেকে যেকোনো দেশ থেকে আসলেই তাকে ১৪ দিনের বাধ্যমূলক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর বাধ্যবাধ্যতা বেঁধে দিয়েছে। তবে আগে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে রাখা হলেও এখন যাত্রীদের নিজ খরচে সাতটি হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত দুই দিনে ৩৯ যাত্রী নিজ খরচে হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন বলেও জানান তিনি।’