খালেদার ‘ভুয়া জন্মদিনের’ জন্য জাতির কাছে বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত: তথ্যমন্ত্রী

  • Update Time : ১২:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০
  • / 228

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এতদিন ধরে ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য জাতির কাছে বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর সেই ভুয়া জন্মদিন না পালনের ঘোষণা দিয়ে বাহবা নেয়ার চেষ্টাও অপরাধ।’

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্র দেশে-বিদেশে’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কবে থেকে ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার জন্ম তারিখ হলো? পত্রিকার পাতায় আমরা জানলাম- ১৯৯৫ সালে হঠাৎ তিনি ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন! এর আগেও তার তিন-চারটি জন্মদিনের কথা আমরা শুনেছি। এখন তারা যে এটি পালন করবে না বলে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করছে, সেটিও একটি অপরাধ।’

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট, যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, হঠাৎ বেগম জিয়া সেদিন জন্মগ্রহণ করেছেন ঘোষণা দিয়ে তো হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করা হলো, হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা হলো এবং এটি সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার শামিল। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, তারা যে হঠাৎ করে ১৫ আগস্টকে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন বলে ঘোষণা দিয়েছিল সেটি যে মিথ্যা-বানোয়াট ছিল, সেটির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে, তাহলে জাতি তাদের ক্ষমা করলেও করতে পারে। ভুয়া জন্মদিন পালন করবেন না বলে তারা এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে তারা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করতে চায়। দয়া করে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করবেন না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্যের মূলে থাকাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য আজ সাংবাদিক সমাজও দাবি জানিয়েছে। আমি আগে থেকেই এটি বলে আসছি যে, শুধু এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবই নয়, যারা এর পটভূমি তৈরি করেছিল, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের জন্য এখনই একটি কমিশন গঠন করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা এটিকে সমর্থন করেছিল তাদেরও দায় আছে। যারা আওয়ামী লীগের পাঁচজন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছিল, এমনকি ঈদের জামাতে গুলি চালিয়েছিল, যারা বাসন্তীকে জাল পরিয়ে ছবি তুলেছিল, তাদের কি দায় নেই?’

সভাপতির বক্তৃতায় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ছিল এবং যারা আগে ও পরে এ হত্যাকে সমর্থন করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্র দেশে-বিদেশে’ মূল প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড ও এর পূর্বাপর ষড়যন্ত্রের পটভূমি বর্ণনা করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, মাইনুল আলম‌।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


খালেদার ‘ভুয়া জন্মদিনের’ জন্য জাতির কাছে বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত: তথ্যমন্ত্রী

Update Time : ১২:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অগাস্ট ২০২০

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এতদিন ধরে ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালনের জন্য জাতির কাছে বিএনপির ক্ষমা চাওয়া উচিত। আর সেই ভুয়া জন্মদিন না পালনের ঘোষণা দিয়ে বাহবা নেয়ার চেষ্টাও অপরাধ।’

শুক্রবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্র দেশে-বিদেশে’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কবে থেকে ১৫ আগস্ট বেগম জিয়ার জন্ম তারিখ হলো? পত্রিকার পাতায় আমরা জানলাম- ১৯৯৫ সালে হঠাৎ তিনি ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করলেন! এর আগেও তার তিন-চারটি জন্মদিনের কথা আমরা শুনেছি। এখন তারা যে এটি পালন করবে না বলে বাহবা নেয়ার চেষ্টা করছে, সেটিও একটি অপরাধ।’

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট, যেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, হঠাৎ বেগম জিয়া সেদিন জন্মগ্রহণ করেছেন ঘোষণা দিয়ে তো হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করা হলো, হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা হলো এবং এটি সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করার শামিল। তাই আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, তারা যে হঠাৎ করে ১৫ আগস্টকে বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন বলে ঘোষণা দিয়েছিল সেটি যে মিথ্যা-বানোয়াট ছিল, সেটির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে, তাহলে জাতি তাদের ক্ষমা করলেও করতে পারে। ভুয়া জন্মদিন পালন করবেন না বলে তারা এটাই মনে করিয়ে দিচ্ছে, যে তারা জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করতে চায়। দয়া করে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপহাস করবেন না।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী, নেপথ্যের মূলে থাকাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য আজ সাংবাদিক সমাজও দাবি জানিয়েছে। আমি আগে থেকেই এটি বলে আসছি যে, শুধু এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবই নয়, যারা এর পটভূমি তৈরি করেছিল, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের জন্য এখনই একটি কমিশন গঠন করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা এটিকে সমর্থন করেছিল তাদেরও দায় আছে। যারা আওয়ামী লীগের পাঁচজন সংসদ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছিল, এমনকি ঈদের জামাতে গুলি চালিয়েছিল, যারা বাসন্তীকে জাল পরিয়ে ছবি তুলেছিল, তাদের কি দায় নেই?’

সভাপতির বক্তৃতায় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা ছিল এবং যারা আগে ও পরে এ হত্যাকে সমর্থন করেছে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত ‘জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড : ষড়যন্ত্র দেশে-বিদেশে’ মূল প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড ও এর পূর্বাপর ষড়যন্ত্রের পটভূমি বর্ণনা করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শাহেদ চৌধুরী, মাইনুল আলম‌।