ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালীতে করা মামলা খারিজ

  • Update Time : ১২:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০
  • / 164

কক্সবাজারের মহেশখালীতে কথিত ‘গোলাগুলিতে’ লবণচাষি আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ওই ঘটনায় ৩ বছর আগে পুলিশের অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে কথিত গোলাগুলিতে নিহত লবণচাষি আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ছাড়াও মহেশখালী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ ও ইমাম হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনিরুল ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়।

প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের ছয় সদস্যের পাশাপাশি স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীসহ তার বাহিনীর ২৩ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়। প্রদীপ কুমার দাশ ২৪ নম্বর আসামি।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস জানান, হামিদার মামলাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আর পুলিশের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।

আদালতে দায়ের করা মামলায় হামিদা বেগম দাবি করেন, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তার স্বামী লবণচাষি আব্দুস সাত্তারকে পুলিশসহ অন্য আসামিরা মারধর করে। পরে কালারমার ছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে পুলিশ কথিত ক্রসফায়ারের নাটক সাজায়।

অভিযোগে তিনি আরো দাবি করেন, এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ থানায় মামলা নেননি। তখন তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন।

হামিদা বেগমের করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৭ জুন আদেশ দেন। এতে বলা হয়, হামিদা বেগম এজাহার দাখিল করলে মহেশখালী থানার ওসিকে তা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করতে হবে। এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র সচিবের (জননিরাপত্তা বিভাগ) পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ মে আপিল বিভাগ আদেশ দেন। এতে রুল ইস্যু না করে এজাহার গ্রহণ করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে ওই রিট মোশন (নতুন মামলা) হিসেবে নতুন করে শুনানি করতে বলা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ওসি প্রদীপসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালীতে করা মামলা খারিজ

Update Time : ১২:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২০

কক্সবাজারের মহেশখালীতে কথিত ‘গোলাগুলিতে’ লবণচাষি আবদুস সাত্তার নিহতের ঘটনায় থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্বাস উদ্দিন এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে ওই ঘটনায় ৩ বছর আগে পুলিশের অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে দায়ের করা মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেয়া হয়েছে।

গতকাল বুধবার দুপুরে কথিত গোলাগুলিতে নিহত লবণচাষি আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হামিদা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় প্রদীপ কুমার দাশ ছাড়াও মহেশখালী থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ ও ইমাম হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনিরুল ইসলাম, শাহেদুল ইসলাম ও আজিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়।

প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের ছয় সদস্যের পাশাপাশি স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীসহ তার বাহিনীর ২৩ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বাহিনীর প্রধান ফেরদৌস চৌধুরীকে প্রধান আসামি করা হয়। প্রদীপ কুমার দাশ ২৪ নম্বর আসামি।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস জানান, হামিদার মামলাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আর পুলিশের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত।

আদালতে দায়ের করা মামলায় হামিদা বেগম দাবি করেন, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তার স্বামী লবণচাষি আব্দুস সাত্তারকে পুলিশসহ অন্য আসামিরা মারধর করে। পরে কালারমার ছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে পুলিশ কথিত ক্রসফায়ারের নাটক সাজায়।

অভিযোগে তিনি আরো দাবি করেন, এ ঘটনায় মামলা করতে গেলে মহেশখালী থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ থানায় মামলা নেননি। তখন তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন।

হামিদা বেগমের করা রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৭ জুন আদেশ দেন। এতে বলা হয়, হামিদা বেগম এজাহার দাখিল করলে মহেশখালী থানার ওসিকে তা তাৎক্ষণিক গ্রহণ করতে হবে। এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।

তবে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র সচিবের (জননিরাপত্তা বিভাগ) পক্ষে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ১৩ মে আপিল বিভাগ আদেশ দেন। এতে রুল ইস্যু না করে এজাহার গ্রহণ করতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাতিল করা হয়। একইসঙ্গে ওই রিট মোশন (নতুন মামলা) হিসেবে নতুন করে শুনানি করতে বলা হয়।