এএসআইকে থাপ্পড় দেওয়া সেই ওসি প্রত্যাহার

  • Update Time : ১১:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০
  • / 190

কর্তব্যরত অবস্থায় প্রকাশ্যে এএসআইকে চড়-থাপ্পড় ও গালাগাল করার অভিযোগে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ইলিয়াস তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বিকাল সোয়া ৪টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার এএসআই নজরুল ইসলামকে বামনা থেকে পদায়ন দিয়ে বরগুনায় ডিএসবিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সঙ্গী সিফাতের মুক্তির দাবীতে শনিবার বরগুনার বামনা শহরের গোলচত্তরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে স্হানীয় ও তার সহপাঠীরা। এ সময় ওসি উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ করে মানববন্ধন পণ্ড করে দেন।

এ সময় মানববন্ধন স্থলে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই নজরুল ইসলাম। তখন ওসি কেন মানববন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে এএসআইকে গালি ও থাপ্পড় দেন। ওসির থাপ্পড়ের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। উঠে আসে গণমাধ্যমে।

এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান এবং সহকারী পুলিশ সুপার আমতলী সার্কেল মো. রবিউল হাসান এবং ওসি (অপরাধ) বরগুনা মো. সোহেল আহম্মেদকে সদস্য করে তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

তদন্ত টিমকে ৩ কার্যদিবসের মধ্য প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সরেজমিনে তদন্ত শেষে মঙ্গলবার পুলিশ প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়।

মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করছিলেন। হঠাৎ সেখানে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজির হন ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন। পুলিশ প্রথমেই মানববন্ধনের ব্যানার ও মাইক ছিনিয়ে নেয়।

এরপরও সিফাতের বন্ধুরা মানববন্ধন চালিয়ে গেলে ওসি দৌঁড়ে এসে নিজেই লাঠিপেটা শুরু করেন। তিনি মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীদের দুষ্কৃতিকারী বলে উল্লেখ করেন।

একই সঙ্গে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের লাঠিপেটার নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পালন না করায় তিনি তার সহকর্মীদের গালাগাল করেন। ইত্তেফাক

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


এএসআইকে থাপ্পড় দেওয়া সেই ওসি প্রত্যাহার

Update Time : ১১:৩৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০

কর্তব্যরত অবস্থায় প্রকাশ্যে এএসআইকে চড়-থাপ্পড় ও গালাগাল করার অভিযোগে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. ইলিয়াস তালুকদারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বিকাল সোয়া ৪টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার এএসআই নজরুল ইসলামকে বামনা থেকে পদায়ন দিয়ে বরগুনায় ডিএসবিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সঙ্গী সিফাতের মুক্তির দাবীতে শনিবার বরগুনার বামনা শহরের গোলচত্তরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে স্হানীয় ও তার সহপাঠীরা। এ সময় ওসি উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ করে মানববন্ধন পণ্ড করে দেন।

এ সময় মানববন্ধন স্থলে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই নজরুল ইসলাম। তখন ওসি কেন মানববন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে এএসআইকে গালি ও থাপ্পড় দেন। ওসির থাপ্পড়ের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। উঠে আসে গণমাধ্যমে।

এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মফিজুল ইসলামকে প্রধান এবং সহকারী পুলিশ সুপার আমতলী সার্কেল মো. রবিউল হাসান এবং ওসি (অপরাধ) বরগুনা মো. সোহেল আহম্মেদকে সদস্য করে তদন্ত টিম গঠন করা হয়।

তদন্ত টিমকে ৩ কার্যদিবসের মধ্য প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সরেজমিনে তদন্ত শেষে মঙ্গলবার পুলিশ প্রধান কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়।

মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন করছিলেন। হঠাৎ সেখানে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজির হন ওসি মো. ইলিয়াস হোসেন। পুলিশ প্রথমেই মানববন্ধনের ব্যানার ও মাইক ছিনিয়ে নেয়।

এরপরও সিফাতের বন্ধুরা মানববন্ধন চালিয়ে গেলে ওসি দৌঁড়ে এসে নিজেই লাঠিপেটা শুরু করেন। তিনি মানববন্ধনে অংশ গ্রহণকারীদের দুষ্কৃতিকারী বলে উল্লেখ করেন।

একই সঙ্গে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের লাঠিপেটার নির্দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পালন না করায় তিনি তার সহকর্মীদের গালাগাল করেন। ইত্তেফাক