হার্ড ইমিউনিটি অনেক দূর: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

  • Update Time : ০৭:৫১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
  • / 153

প্রানঘাতী নভেল করোনার বিরুদ্ধে লড়তে কার্যকরী উপায় হিসেবে ধরা হচ্ছে ‘হার্ড ইমিউনিটি’কে; তবে এই পথে পৌঁছাতে আরও অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংস্থার  প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্য স্বামীনাথা বলছেন, কোনও জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ যখন কোনও রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় সেটা হলো ‘হার্ড ইমিউনিটি’, আমাদের সেখানে পৌঁছাতে এখনও অনেকটা পথ বাকি রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে হবে। জেনেভা থেকে স্বাস্থ্য সংস্থার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সৌম্য স্বামীনাথা আরও বলেন, স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আরও মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, বিজ্ঞানীর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী বছরের মধ্যে করোনাকে পরাস্ত করতে বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সৌম্য স্বামীনাথার ভাষ্য, হার্ড ইমিউনিটির এই ধারণার ক্ষেত্রে, এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধ করতে কোনও জনসংখ্যার মোট ৫০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি থাকতে হয়।

তিনি বলেন, একটা সময় পর মানুষ স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জন করে ফেলবে। গবেষণায় দেখা গেছে অনেক দেশে মোট জনসংখ্যার ৫ থেকে ১০ ভাগের মধ্যে এন্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। স্থানভেদে এটি ঘটেছে ২০ ভাগেরও বেশি মানুষের ক্ষেত্রে।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত দেড় কোটির বেশি মানুষ; মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬ লাখের মতো।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


হার্ড ইমিউনিটি অনেক দূর: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

Update Time : ০৭:৫১:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০

প্রানঘাতী নভেল করোনার বিরুদ্ধে লড়তে কার্যকরী উপায় হিসেবে ধরা হচ্ছে ‘হার্ড ইমিউনিটি’কে; তবে এই পথে পৌঁছাতে আরও অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সংস্থার  প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্য স্বামীনাথা বলছেন, কোনও জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ যখন কোনও রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় সেটা হলো ‘হার্ড ইমিউনিটি’, আমাদের সেখানে পৌঁছাতে এখনও অনেকটা পথ বাকি রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তুলতে হবে। জেনেভা থেকে স্বাস্থ্য সংস্থার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সৌম্য স্বামীনাথা আরও বলেন, স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আরও মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, বিজ্ঞানীর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী বছরের মধ্যে করোনাকে পরাস্ত করতে বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সৌম্য স্বামীনাথার ভাষ্য, হার্ড ইমিউনিটির এই ধারণার ক্ষেত্রে, এমন পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধ করতে কোনও জনসংখ্যার মোট ৫০ থেকে ৬০ ভাগ মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি থাকতে হয়।

তিনি বলেন, একটা সময় পর মানুষ স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জন করে ফেলবে। গবেষণায় দেখা গেছে অনেক দেশে মোট জনসংখ্যার ৫ থেকে ১০ ভাগের মধ্যে এন্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। স্থানভেদে এটি ঘটেছে ২০ ভাগেরও বেশি মানুষের ক্ষেত্রে।

গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত দেড় কোটির বেশি মানুষ; মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৬ লাখের মতো।