কোরবানির আগেও কর্মহীন গোপালগঞ্জের কর্মকারেরা

  • Update Time : ১১:১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
  • / 174
গোপালগঞ্জের কর্মকারদের হাতে তেমন কোন কাজ নাই। অথচ বিগত বছর গুলোকে এ সময় তাদের হাতে থাকে প্রচুর কাজ। দম ফেলানোর ফুরসত থাকে না।
.

কোরবানির পশু জবাইসহ মাংশ বানানোর কাজে ব্যবহৃত নানা ধরনের ছুরি, কোপা বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা। এ বছর তার ছিটে- ফোঁটাও দেখা যাচ্ছেনা।

কোরবানির আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। প্রতি বছর এই সময়টা আসলে কর্মকারদের হাতে থাকে প্রচুর কাজ। দিন রাত তারা কাজ করে ক্রেতাদের অর্ডার মত পশু কোরবানির ছুরি, চাকু, কোপাসহ অন্যান্য মালামালের যোগান দিয়ে থাকেন।
কিন্তু, এবছর এখনো পর্যন্ত কাজের কোন চাপ পড়েনি কর্মকারদের। করোনার কারনে একদিকে যেমন গরুর হাট এখনো তেমন জমেনি, তেমনি কর্মকারদের কাজও তেমন একটা না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ অবস্থায় জেলায় কর্মরত কর্মকারেরা রয়েছেন দুচিন্তায়। সারা বছর এই সময়টার জন্য তারা অপেক্ষা করে থাকেন। অথচ এবছর কাজের সময়টা তাদের হাতে কাজ নাই। এ সময়ের অতিরিক্ত আয় দিয়ে তারা কয়েক মাস কাজ না থাকলেও অসুবিধা হয়না।

জেলা সদরে কাজ করা কর্মকার কানাই বিশ্বাস, অজিত বৈদ্য, দিলীপ কর্মকার জানান, করোনা কালীন সময়ে এখনো তাদের কাছে কাজ আসেনি। যে কারনে তারা দুচিন্তায় রয়েছেন। তবে শেষ মূহুর্তে হয়তো তারা ক্রেতা পাবেন এই আশায় দিন গুনছেন। তাই অল্প অল্প করে কিছু মালামাল তারা তৈরী করে রাখছেন, শেষ সময়ের জন্য। করোনার প্রভাবে এবছর তাদের আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে। আগামী দিনগুলো তাদের কিভাবে চলবে এই আশংকায় দিন কাটছে কামারদের।

তবে বলাই কর্মকার জানান, এ বছর লোহা, কয়লা প্রভৃতির দাম আগের থেকে বেশী হওয়ায় তাদের উৎপাদিত পন্যের দাম একটু বেশী হবে। তারা পশু জবাই করা ছুরি কেজি প্রতি ৫শ’ টাকা, দা প্রতি কেজি ৬শ’ টাকা, কোপা প্রতি কেজি ৪শ’ টাকা, কুড়াল প্রতি কেজি ৪শ’ টাকা, বটি প্রতি কেজি ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

আগামী যে ক’দিন বাকি আছে ঈদের সে ক’দিন তাদের হাতে কাজ আসবে,এমনটি প্রত্যাশা জেলার কামার পেশাজীবীদের।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কোরবানির আগেও কর্মহীন গোপালগঞ্জের কর্মকারেরা

Update Time : ১১:১১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
গোপালগঞ্জের কর্মকারদের হাতে তেমন কোন কাজ নাই। অথচ বিগত বছর গুলোকে এ সময় তাদের হাতে থাকে প্রচুর কাজ। দম ফেলানোর ফুরসত থাকে না।
.

কোরবানির পশু জবাইসহ মাংশ বানানোর কাজে ব্যবহৃত নানা ধরনের ছুরি, কোপা বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন তারা। এ বছর তার ছিটে- ফোঁটাও দেখা যাচ্ছেনা।

কোরবানির আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। প্রতি বছর এই সময়টা আসলে কর্মকারদের হাতে থাকে প্রচুর কাজ। দিন রাত তারা কাজ করে ক্রেতাদের অর্ডার মত পশু কোরবানির ছুরি, চাকু, কোপাসহ অন্যান্য মালামালের যোগান দিয়ে থাকেন।
কিন্তু, এবছর এখনো পর্যন্ত কাজের কোন চাপ পড়েনি কর্মকারদের। করোনার কারনে একদিকে যেমন গরুর হাট এখনো তেমন জমেনি, তেমনি কর্মকারদের কাজও তেমন একটা না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এ অবস্থায় জেলায় কর্মরত কর্মকারেরা রয়েছেন দুচিন্তায়। সারা বছর এই সময়টার জন্য তারা অপেক্ষা করে থাকেন। অথচ এবছর কাজের সময়টা তাদের হাতে কাজ নাই। এ সময়ের অতিরিক্ত আয় দিয়ে তারা কয়েক মাস কাজ না থাকলেও অসুবিধা হয়না।

জেলা সদরে কাজ করা কর্মকার কানাই বিশ্বাস, অজিত বৈদ্য, দিলীপ কর্মকার জানান, করোনা কালীন সময়ে এখনো তাদের কাছে কাজ আসেনি। যে কারনে তারা দুচিন্তায় রয়েছেন। তবে শেষ মূহুর্তে হয়তো তারা ক্রেতা পাবেন এই আশায় দিন গুনছেন। তাই অল্প অল্প করে কিছু মালামাল তারা তৈরী করে রাখছেন, শেষ সময়ের জন্য। করোনার প্রভাবে এবছর তাদের আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে। আগামী দিনগুলো তাদের কিভাবে চলবে এই আশংকায় দিন কাটছে কামারদের।

তবে বলাই কর্মকার জানান, এ বছর লোহা, কয়লা প্রভৃতির দাম আগের থেকে বেশী হওয়ায় তাদের উৎপাদিত পন্যের দাম একটু বেশী হবে। তারা পশু জবাই করা ছুরি কেজি প্রতি ৫শ’ টাকা, দা প্রতি কেজি ৬শ’ টাকা, কোপা প্রতি কেজি ৪শ’ টাকা, কুড়াল প্রতি কেজি ৪শ’ টাকা, বটি প্রতি কেজি ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

আগামী যে ক’দিন বাকি আছে ঈদের সে ক’দিন তাদের হাতে কাজ আসবে,এমনটি প্রত্যাশা জেলার কামার পেশাজীবীদের।