সাংবাদিক শরিফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক, আনা হচ্ছে ঢাকায়
- Update Time : ০৮:০১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০
- / 258
কুমিল্লার মুরাদনগরে চেয়ারম্যানের নির্যাতনের শিকার দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি শরিফুল আলম চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ভোরে তাকে রাজধানী ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নিয়ে যাওয়া হবে।
সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরিফুলের স্ত্রী রুমানা আক্তার। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহানের বাহিনী সপরিবারে শরিফুলের ওপর হামলা চালান। কুপিয়ে ও পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় তার হাত-পা। জখম করা হয় তার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও।
শরিফুলের স্ত্রী রুমানা জানান, তার স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তীব্র যন্ত্রণায় তিনি ছটফট করছে। মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
রুমানা বলেন, “উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সেই সামর্থ্য নেই। অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার সঙ্কট রয়েছে। আজ (সোমবার) রক্ত দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ভোর ৪টায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।”
এর আগে শনিবার হামলার শিকার হন শরিফুল আলম চৌধুরী। হামলার সময় তাকে হাতুড়ি ও লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কুপিয়ে তার মাথা ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। শরিফুলকে রক্ষা করতে এসে রক্তাক্ত হয়েছেন তার বাবা-মা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া রবিবার গ্রেফতার হলেও সোমবার তিনি জামিনে ছাড়া পান।
সাংবাদিক শরিফুলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেন, “চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি। কিন্তু দুপুরে শুনলাম হামলার নির্দেশদাতা ও প্রধান আসামি চেয়ারম্যানের জামিন হয়ে গেছে। চেয়ারম্যান বিকেলে এলাকায় এসে দলবল নিয়ে করোনার মাঝেও শোডাউন করে উল্লাস করেছেন বলে শুনেছি। এখন আর কার কাছে বিচার চাইব?”
এদিকে, সাংবাদিক পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক নেতারা। তারা অবিলম্বে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলত অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
রাতে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মনজুর আলম জানান, ঘটনার পর থেকে হামলায় জড়িতরা এলাকায় না থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।