দিনাজপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা

  • Update Time : ০২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
  • / 157
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রনমী চন্দ্র রায় (৭০) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের গোকুল গ্রামের মৃত মতিলাল সরকারের ছেলে।

রবিবার গ্রামের পশ্চিম দিকের মাঠের একটি আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেশীরা বলেন, শনিবার রাতের কোন একসময় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে গ্রামের লোকজন মাঠে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী জানান, তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ এএসআই। তার এনজিও এবং মানুষের কাছে ঋণ থাকার কারণে আত্মহত্যা করেন। তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে এক ছেলে পুলিশে, একজন ভূমি অফিসের তহশিলদার পদে কর্মরত। মেয়ে বিবাহিত।

বীরমুক্তিযোদ্ধা রনমী চন্দ্র রায়ের স্ত্রী ছবি রায় বলেন, আমাকে তিনি খুব ভালবাসতেন। শেখ হাসিনা এই বাড়ি করে দিয়েছেন। রাতে একসাথে ঘুমিয়ে ছিলাম কখন তিনি বাইরে গিয়ে এই কাজ করেছেন- আমি জানি না। তিনি আরো বলেন, তার তো কোন চিন্তা ছিল না, কিন্তু তিনি কেন এমন করলেন।

তার কোন ঋণ ছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার কোন ঋণ ছিল না- যা ছিল সব আমার।

ফুলবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে- এটি আত্মহত্যা। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এবং সন্দেহ না থাকায় মৃতদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

বিকাল সাড়ে ৩টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজের উপস্থিতিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা রনমী চন্দ্র রায়কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুলিশ গার্ড অব অনার প্রদর্শন করার পর তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দিনাজপুরে এক মুক্তিযোদ্ধার আত্মহত্যা

Update Time : ০২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা রনমী চন্দ্র রায় (৭০) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার আলাদীপুর ইউনিয়নের গোকুল গ্রামের মৃত মতিলাল সরকারের ছেলে।

রবিবার গ্রামের পশ্চিম দিকের মাঠের একটি আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রতিবেশীরা বলেন, শনিবার রাতের কোন একসময় তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে গ্রামের লোকজন মাঠে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী জানান, তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ এএসআই। তার এনজিও এবং মানুষের কাছে ঋণ থাকার কারণে আত্মহত্যা করেন। তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে এক ছেলে পুলিশে, একজন ভূমি অফিসের তহশিলদার পদে কর্মরত। মেয়ে বিবাহিত।

বীরমুক্তিযোদ্ধা রনমী চন্দ্র রায়ের স্ত্রী ছবি রায় বলেন, আমাকে তিনি খুব ভালবাসতেন। শেখ হাসিনা এই বাড়ি করে দিয়েছেন। রাতে একসাথে ঘুমিয়ে ছিলাম কখন তিনি বাইরে গিয়ে এই কাজ করেছেন- আমি জানি না। তিনি আরো বলেন, তার তো কোন চিন্তা ছিল না, কিন্তু তিনি কেন এমন করলেন।

তার কোন ঋণ ছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তার কোন ঋণ ছিল না- যা ছিল সব আমার।

ফুলবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে- এটি আত্মহত্যা। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ এবং সন্দেহ না থাকায় মৃতদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

বিকাল সাড়ে ৩টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজের উপস্থিতিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা রনমী চন্দ্র রায়কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুলিশ গার্ড অব অনার প্রদর্শন করার পর তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।