দেশের অধস্তন আদালতের ২০ বিচারকসহ আদালতের ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে অধস্তন আদালতের ৫৯ কর্মকর্তা এবং হাইকোর্টের ২৪ কর্মকর্তা রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালনের সময় সারা দেশে এ পর্যন্ত অধস্তন আদালতের ২০ জন বিচারক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ২৪ কর্মচারী এবং অধস্তন আদালতের ৫৯ জন কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে আছেন আরও ৬ জন বিচারক। করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৮ জুন মাদারীপুর জেলা জজ আদালতের জারিকারক কাউসার এবং ১৯ জুন নওগাঁ জেলা জজ আদালতের অফিস সহায়ক মহিউদ্দিন মোহন মারা যান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে ঢাকা সিএমএইচ-এর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক (জেলা জজ) ফেরদৌস আহমেদ। তাকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক (সিনিয়ার জেলা জজ) বেগম শামীম আহমেদ। এছাড়াও জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) রুস্তম আলী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া অধস্তন আদালতের ১৫ বিচারক বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট করোনা আক্রান্ত বিচারক এবং কর্মচারীর চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা জজদের অনুরোধ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট হতে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং সময় সময় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের করোনা সংক্রান্তে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অধস্তন আদালতের বিচারকদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আরেকটি কমিটি সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।