জমে উঠছে করমেলা, চলবে ৩০ নভেম্বের পর্যন্ত

  • Update Time : ০১:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / 67

আয়কর তথ্য সেবা মাস হিসেবে আয়কর মেলার পরিবর্তে অফিসে অফিসে চলছে মিনি করমেলা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৮৬৯টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যাবে করসেবা। চলবে ৩০ নভেম্বের পর্যন্ত।

রাজধানীর সেগুন বাগিচায় পুরাতন এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের ভবনে কর অঞ্চল-৪ অফিসের নিচে চলছে মেলার পরিবেশে কর সেবা। সরকারি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর করদাতাদের কর সার্কেলগুলো এই অঞ্চলের আওতায়। স্বাভাবিকভাবে বাড়তি নজরদারি ও দায়িত্ব রয়েছে এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

ওই অফিসের নিচেই রিটার্ন দাখিল, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, ইটিআইএন, ডিজিটাল চালানসহ বিভিন্ন সেবা দিতে মোট ১৭টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই অফিস ছাড়াও কেরানীগঞ্জে ওই কর অঞ্চলের সাব অফিস রয়েছে। যদিও এখনো করদাতাদের কাঙ্ক্ষিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এ বছরে সরকারি অফিসের কর্মীদের অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক। সবকিছু মিলিয়ে এখন পর্যন্ত যারা রিটার্ন জমা দিতে যাচ্ছেন, অনেকটা নির্বিঘ্নে করসেবা নিতে পারছেন।

সরেজমিন পরিদর্শন ও কর অফিস থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, কর অঞ্চল-৪ এর আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখের বেশি ব্যক্তি ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ ব্যক্তি নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করে থাকেন।

কর অঞ্চল-৪ অফিস সূত্রে জানা যায়, এই কর অঞ্চলের আওতায় মোট ২২ কর সার্কেল রয়েছে। এখন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেলায় ২ হাজার ৩৬৮ জন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ও ৭ হাজার ৬২৪ জন অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।

করমেলা

রিটার্ন দাখিল করতে এসেছেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা আলফাজ। রিটার্ন দাখিল করার পর তিনি বলেন, আয়কর মেলা না হলেও মেলার একই পরিবেশে কর অফিসে রিটার্ন জমা দিলাম। অভিজ্ঞতা মোটুমুটি ভালোই। অবসর নিয়েছি বেশ আগে। প্রতি বছরই রিটার্ন দাখিল করি। ভিড় এড়াতে আগেই কাজ শেষ করলাম।

এনবিআর জানায়, ২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ পদ্ধতি গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা প্রদানের জন্য এনবিআরে একটি কল সেন্টার স্থাপন করেছে। অফিস চলাকালীন যে কোনো সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সমাধান পাচ্ছেন।

এছাড়া www.etaxnbr.gov.bd এর eTax Service অপশন থেকে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা e-mail এর মাধ্যমে জানাতে পারছেন, যা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বিষয়ক একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবপেজ (www.nbr.gov.bd), ইউটিউব চ্যানেল www.youtube.com/@nbr.bangladesh এবং ফেসবুক পেজ www.facebook.com/nbr.bangladesh —এ পাওয়া যাচ্ছে।

এবারে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলসমূহের অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী, তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সামনে ১২ তলা ভবনে অবস্থিত কর অঞ্চল-১ এর অফিস। যদিও বারডেম হাসপাতালের সামনে কর অঞ্চলটির সাব-অফিসের নিচে চলছে মেলার পরিবেশে কর সেবা। ওই অফিসের নিচেই রিটার্ন দাখিল, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, ইটিআইএন, ডিজিটাল চালানসহ বিভিন্ন সেবা দিতে মোট ৬টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মিনি করমেলায় করদাতাদের ভিড় তুলনামূলক কম। তবে দিন যত গড়াচ্ছে ভিড় ততই ‍বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার কাকরাইল, সেগুন বাগিচা, পল্টন, শান্তিনগর, বিজয়নগর ও মৎস্যভবনসহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা ও ইংরেজি ‘A’ অক্ষর দিয়ে শুরু এমন কোম্পানি এই কর অঞ্চলের করদাতা।

সরেজিমন পরিদর্শন ও কর অঞ্চল-১ এর অফিস সূত্রে জানা যায়, কর অঞ্চল-১ এর আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৬ ব্যক্তি ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন। যার মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৬ হাজার ৩৮৫ জন করদাতার রিটার্ন দাখিল করেছেন। যেখানে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ৩ হাজার ৭৭৬ জন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের কিছু বেশি ব্যক্তি রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত অর্থবছররে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বেশি কর আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল এই কর অফিসটি। এবারও সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখতে চায় অফিসটি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলের কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মো. লুৎফুল আজীম বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হয়রানি কমিয়ে করদাতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া। এজন্য করদাতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। অনলাইন সেবা নেওয়ার চর্চায় যেতে হবে। হয়রানিমুক্ত সেবা পেতে করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এতে সময় ও হয়রানির অভিযোগ কমে যাবে। অহেতুক অডিট থেকে মুক্তি পাবে করদাতারা।

তিনি বলেন, কর তথ্য সেবা মাস উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা দেওয়া হচ্ছে। নভেম্বের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত করমেলার আঙ্গিকে মিনি করমেলা চলছে। মিনি কর মেলায় রিটার্ন দাখিল ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। চাইলে মিনি করমেলায় বসেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ নিতে পারছেন করদাতারা। আশা করছি ৩০ নভেম্বরের আগেই রিটার্ন দাখিল করে কর সুবিধা গ্রহণ করবেন করদাতারা।

কর অঞ্চলগুলোতে যে সব সেবা পাওয়া যায়

# প্রতিটি অফিসে উন্মুক্ত স্থান বা কার পার্কিং এরিয়ায় রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণ করা হচ্ছে।

# অনলাইনে কীভাবে রিটার্ন দাখিল করা যায়, সে বিষয়টি হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে কর সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অফিস যেতে হবে না।

# সব কর কমিশনার সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

# কর অঞ্চল-৪ এবং কর অঞ্চল-১৬ ব্যবস্থাপনায় সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বাংলাদেশ সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন রিটার্ন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন রিটার্ন দাখিল সুবিধা ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে ৩-১৮ নভেম্বর পর্যন্ত কর তথ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।

# কর অঞ্চল-১১ এর ব্যবস্থাপনায় ১৮-১৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর সেবা দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media


জমে উঠছে করমেলা, চলবে ৩০ নভেম্বের পর্যন্ত

Update Time : ০১:২৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

আয়কর তথ্য সেবা মাস হিসেবে আয়কর মেলার পরিবর্তে অফিসে অফিসে চলছে মিনি করমেলা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উদ্যোগে নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৮৬৯টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যাবে করসেবা। চলবে ৩০ নভেম্বের পর্যন্ত।

রাজধানীর সেগুন বাগিচায় পুরাতন এনবিআর প্রধান কার্যালয়ের ভবনে কর অঞ্চল-৪ অফিসের নিচে চলছে মেলার পরিবেশে কর সেবা। সরকারি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর করদাতাদের কর সার্কেলগুলো এই অঞ্চলের আওতায়। স্বাভাবিকভাবে বাড়তি নজরদারি ও দায়িত্ব রয়েছে এই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

ওই অফিসের নিচেই রিটার্ন দাখিল, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, ইটিআইএন, ডিজিটাল চালানসহ বিভিন্ন সেবা দিতে মোট ১৭টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই অফিস ছাড়াও কেরানীগঞ্জে ওই কর অঞ্চলের সাব অফিস রয়েছে। যদিও এখনো করদাতাদের কাঙ্ক্ষিত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এ বছরে সরকারি অফিসের কর্মীদের অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক। সবকিছু মিলিয়ে এখন পর্যন্ত যারা রিটার্ন জমা দিতে যাচ্ছেন, অনেকটা নির্বিঘ্নে করসেবা নিতে পারছেন।

সরেজমিন পরিদর্শন ও কর অফিস থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, কর অঞ্চল-৪ এর আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখের বেশি ব্যক্তি ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন। যার মধ্যে প্রায় ১ লাখ ব্যক্তি নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করে থাকেন।

কর অঞ্চল-৪ অফিস সূত্রে জানা যায়, এই কর অঞ্চলের আওতায় মোট ২২ কর সার্কেল রয়েছে। এখন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মেলায় ২ হাজার ৩৬৮ জন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ও ৭ হাজার ৬২৪ জন অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।

করমেলা

রিটার্ন দাখিল করতে এসেছেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা আলফাজ। রিটার্ন দাখিল করার পর তিনি বলেন, আয়কর মেলা না হলেও মেলার একই পরিবেশে কর অফিসে রিটার্ন জমা দিলাম। অভিজ্ঞতা মোটুমুটি ভালোই। অবসর নিয়েছি বেশ আগে। প্রতি বছরই রিটার্ন দাখিল করি। ভিড় এড়াতে আগেই কাজ শেষ করলাম।

এনবিআর জানায়, ২০২৪-২৫ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিল ও কর পরিশোধ পদ্ধতি গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় করদাতাদের সহায়তা প্রদানের জন্য এনবিআরে একটি কল সেন্টার স্থাপন করেছে। অফিস চলাকালীন যে কোনো সময়ে কল সেন্টারের ০৯৬৪৩ ৭১ ৭১ ৭১ নম্বরে করদাতারা তাৎক্ষণিক টেলিফোনিক সমাধান পাচ্ছেন।

এছাড়া www.etaxnbr.gov.bd এর eTax Service অপশন থেকে করদাতারা ই-রিটার্ন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা e-mail এর মাধ্যমে জানাতে পারছেন, যা দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। একইসঙ্গে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বিষয়ক একটি ভিডিও টিউটোরিয়াল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবপেজ (www.nbr.gov.bd), ইউটিউব চ্যানেল www.youtube.com/@nbr.bangladesh এবং ফেসবুক পেজ www.facebook.com/nbr.bangladesh —এ পাওয়া যাচ্ছে।

এবারে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলসমূহের অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী, তফসিলি ব্যাংক, মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সামনে ১২ তলা ভবনে অবস্থিত কর অঞ্চল-১ এর অফিস। যদিও বারডেম হাসপাতালের সামনে কর অঞ্চলটির সাব-অফিসের নিচে চলছে মেলার পরিবেশে কর সেবা। ওই অফিসের নিচেই রিটার্ন দাখিল, অনলাইনে রিটার্ন দাখিল, ইটিআইএন, ডিজিটাল চালানসহ বিভিন্ন সেবা দিতে মোট ৬টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। মিনি করমেলায় করদাতাদের ভিড় তুলনামূলক কম। তবে দিন যত গড়াচ্ছে ভিড় ততই ‍বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার কাকরাইল, সেগুন বাগিচা, পল্টন, শান্তিনগর, বিজয়নগর ও মৎস্যভবনসহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা ও ইংরেজি ‘A’ অক্ষর দিয়ে শুরু এমন কোম্পানি এই কর অঞ্চলের করদাতা।

সরেজিমন পরিদর্শন ও কর অঞ্চল-১ এর অফিস সূত্রে জানা যায়, কর অঞ্চল-১ এর আওতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭১৬ ব্যক্তি ই-টিআইএন নিবন্ধন নিয়েছেন। যার মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৬ হাজার ৩৮৫ জন করদাতার রিটার্ন দাখিল করেছেন। যেখানে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ৩ হাজার ৭৭৬ জন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের কিছু বেশি ব্যক্তি রিটার্ন দাখিল করেছেন। গত অর্থবছররে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বেশি কর আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল এই কর অফিসটি। এবারও সেই ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখতে চায় অফিসটি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলের কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মো. লুৎফুল আজীম বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হয়রানি কমিয়ে করদাতাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়া। এজন্য করদাতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। অনলাইন সেবা নেওয়ার চর্চায় যেতে হবে। হয়রানিমুক্ত সেবা পেতে করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এতে সময় ও হয়রানির অভিযোগ কমে যাবে। অহেতুক অডিট থেকে মুক্তি পাবে করদাতারা।

তিনি বলেন, কর তথ্য সেবা মাস উপলক্ষ্যে বিশেষ সেবা দেওয়া হচ্ছে। নভেম্বের ১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত করমেলার আঙ্গিকে মিনি করমেলা চলছে। মিনি কর মেলায় রিটার্ন দাখিল ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্রসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। চাইলে মিনি করমেলায় বসেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করার সুযোগ নিতে পারছেন করদাতারা। আশা করছি ৩০ নভেম্বরের আগেই রিটার্ন দাখিল করে কর সুবিধা গ্রহণ করবেন করদাতারা।

কর অঞ্চলগুলোতে যে সব সেবা পাওয়া যায়

# প্রতিটি অফিসে উন্মুক্ত স্থান বা কার পার্কিং এরিয়ায় রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণ করা হচ্ছে।

# অনলাইনে কীভাবে রিটার্ন দাখিল করা যায়, সে বিষয়টি হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে কর সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অফিস যেতে হবে না।

# সব কর কমিশনার সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

# কর অঞ্চল-৪ এবং কর অঞ্চল-১৬ ব্যবস্থাপনায় সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য বাংলাদেশ সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন রিটার্ন রেজিস্ট্রেশন, অনলাইন রিটার্ন দাখিল সুবিধা ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে ৩-১৮ নভেম্বর পর্যন্ত কর তথ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে।

# কর অঞ্চল-১১ এর ব্যবস্থাপনায় ১৮-১৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর সেবা দেওয়া হবে।