রেকর্ড মুনাফা অর্জনের পথে বিকাশ

  • Update Time : ০২:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
  • / 30

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ লিমিটেড রেকর্ড মুনাফার পথে। চলতি বছরের ৯ মাসে বিকাশের আয় হয়েছে ৪ হাজার ১২৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর নিট মুনাফা হয়েছে ২১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা কোম্পানির সূচনা থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে কোম্পানিটি কখনো বছরে শতকোটি টাকা মুনাফা করেনি।

২০১১ সালে যাত্রা শুরু করা বিকাশের ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর মুনাফায় ছিল প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর লোকসান দেয় বিকাশ।

তথ্যমতে, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিকাশের আয় ও নিট মুনাফা যথাক্রমে ৮৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ও ২৩ কোটি ৭৬ লাখ, ১ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৫ লাখ ও ৩৩ কোটি ৫২ লাখ, ১ হাজার ৬৩৩ কোটি ২৪ লাখ ও ৪৮ কোটি ৭৮ লাখ, ২ হাজার ১৭৯ কোটি ১৩ লাখ ও ১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

এর পর থেকে তিন বছর লোকসান হয়েছে বিকাশের। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৪১৬ কোটি ৮ লাখ আয় ও লোকসান হয় ৬২ কোটি ৫১ লাখ, ২০২০ সালে ২ হাজার ৬২৪ কোটি ৫০ লাখ আয় ও লোকসান ৮১ কোটি ৪০ লাখ এবং ২০২১ সালে আয় ৩ হাজার ১৯৬ কোটি ২৮ লাখ ও লোকসান ১১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

২০২২ সালে মুনাফায় ফেরে বিকাশ; আয় হয় ৩ হাজার ৪৩০ কোটি ৮১ লাখ ও নিট মুনাফা ১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে আয় ৪ হাজার ১৯০ কোটি ৭০ লাখ এবং ৯৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা হয়। ব্যবসার ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির আয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সেই হিসাবে ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বিকাশের ব্যবসার আকার সম্প্রসারণ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ গুণ।

বিকাশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, গ্রাহক ও অংশীজনদের ডিজিটাল শিক্ষা বাড়াতে ধারাবাহিক বিনিয়োগ করে আসছে বিকাশ। এর মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রেকর্ড মুনাফা অর্জনের পথে বিকাশ

Update Time : ০২:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (এমএফএস) বিকাশ লিমিটেড রেকর্ড মুনাফার পথে। চলতি বছরের ৯ মাসে বিকাশের আয় হয়েছে ৪ হাজার ১২৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আর নিট মুনাফা হয়েছে ২১৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা কোম্পানির সূচনা থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এর আগে কোম্পানিটি কখনো বছরে শতকোটি টাকা মুনাফা করেনি।

২০১১ সালে যাত্রা শুরু করা বিকাশের ১০ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছর মুনাফায় ছিল প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা তিন বছর লোকসান দেয় বিকাশ।

তথ্যমতে, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিকাশের আয় ও নিট মুনাফা যথাক্রমে ৮৫৮ কোটি ৬৫ লাখ ও ২৩ কোটি ৭৬ লাখ, ১ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৫ লাখ ও ৩৩ কোটি ৫২ লাখ, ১ হাজার ৬৩৩ কোটি ২৪ লাখ ও ৪৮ কোটি ৭৮ লাখ, ২ হাজার ১৭৯ কোটি ১৩ লাখ ও ১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

এর পর থেকে তিন বছর লোকসান হয়েছে বিকাশের। ২০১৯ সালে ২ হাজার ৪১৬ কোটি ৮ লাখ আয় ও লোকসান হয় ৬২ কোটি ৫১ লাখ, ২০২০ সালে ২ হাজার ৬২৪ কোটি ৫০ লাখ আয় ও লোকসান ৮১ কোটি ৪০ লাখ এবং ২০২১ সালে আয় ৩ হাজার ১৯৬ কোটি ২৮ লাখ ও লোকসান ১১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

২০২২ সালে মুনাফায় ফেরে বিকাশ; আয় হয় ৩ হাজার ৪৩০ কোটি ৮১ লাখ ও নিট মুনাফা ১৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ২০২৩ সালে আয় ৪ হাজার ১৯০ কোটি ৭০ লাখ এবং ৯৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা মুনাফা হয়। ব্যবসার ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির আয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সেই হিসাবে ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে বিকাশের ব্যবসার আকার সম্প্রসারণ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ গুণ।

বিকাশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, গ্রাহক ও অংশীজনদের ডিজিটাল শিক্ষা বাড়াতে ধারাবাহিক বিনিয়োগ করে আসছে বিকাশ। এর মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে।