দুধের ঘাটতি পূরণে আমদানি নির্ভরতা বদলাতে চাই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

  • Update Time : ০৪:১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 20

দুধের উৎপাদন ঘাটতি পূরণে যেভাবে আমদানি হচ্ছে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার বলেছেন, আমদানি নির্ভরতা থাকলে গরু, ছাগল এমনকি দুধের যে উৎস্যগুলো আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। কাজেই বিদেশ নির্ভরতা, আমাদানি নির্ভরতা ও টেকনোলজি বদলাতে চাই।

আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিশারিজ এন্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরাম (এফএলজেএফ) আয়োজিত “দেশের ডেইরি খাতের সমস্যা-সম্ভবনা ও করণীয়” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেছেন, একদিকে যেমন মৎস্য ও মৎস্যখাত বৈষম্যের শিকার অন্যদিকে প্রাণিসম্পদখাত অসম সংবাদের শিকার। পত্র-পত্রিকা এমনকি টেলিভিশনেও অনেক সময় ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়-সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশনের জন্য তিনি সাংবাদিকদের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের আমিষ জাতীয় খাদ্যের যোগান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে আসে। যদি এ ব্যাপারে মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে বঁচে থাকা কঠিন হয়ে পরবে।

উপদেষ্টা বলেছেন,নারীরা অত্যন্ত যত্নের সাথে গবাদি পশু পালন করে থাকে। চরাঞ্চলে যাদের কিছুই নাই এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত তারাও গবাদি পশু পালন করে বেঁচে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন খামারী এবং কোম্পানিগুলো দুধ ও মাংসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ দুধ ও মাংস সরবরাহ করছে কিনা সেলক্ষ্যে সাবাইকে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেছেন, দেশীয় জাতের গরুর দুধের নির্ভরশীলতা বিদেশী গরুর চেয়ে কম হলেও বেশি দুধের আশায় ফিড নির্ভরতা না হয়ে খামারীদের গোচারণ ভূমি নির্ভর হতে হবে এবং তা রক্ষা করতে হবে। কৃষিতে আগাছানাশক ঘাস মারতে হার্বিসাইড প্রয়োগ করার ফলে গরুর ঘাস নষ্ট হচ্ছে, এবিষয়ে কৃষির সাথে সমন্বয় করা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ক্ষুদ্র খামারীরা গ্রামের ঘরে ঘরে আছে। তাদের সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে দুধের ঘাটতি মিটিয়ে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবে।

এফএলজেএফ’র সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব ডা. মো. রেয়াজুল হক, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. এম এ সালেক, এতে স্বাগত বক্তৃতা করেছেন করেছেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো:বায়েজীদ মুন্সী, তৃণমূলের ক্ষুদ্র খামারীরা এসময় বক্তৃতা করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media


দুধের ঘাটতি পূরণে আমদানি নির্ভরতা বদলাতে চাই: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

Update Time : ০৪:১২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

দুধের উৎপাদন ঘাটতি পূরণে যেভাবে আমদানি হচ্ছে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার বলেছেন, আমদানি নির্ভরতা থাকলে গরু, ছাগল এমনকি দুধের যে উৎস্যগুলো আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। কাজেই বিদেশ নির্ভরতা, আমাদানি নির্ভরতা ও টেকনোলজি বদলাতে চাই।

আজ সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ফিশারিজ এন্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরাম (এফএলজেএফ) আয়োজিত “দেশের ডেইরি খাতের সমস্যা-সম্ভবনা ও করণীয়” বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেছেন, একদিকে যেমন মৎস্য ও মৎস্যখাত বৈষম্যের শিকার অন্যদিকে প্রাণিসম্পদখাত অসম সংবাদের শিকার। পত্র-পত্রিকা এমনকি টেলিভিশনেও অনেক সময় ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয়-সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য পরিবেশনের জন্য তিনি সাংবাদিকদের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের আমিষ জাতীয় খাদ্যের যোগান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে আসে। যদি এ ব্যাপারে মূল্যায়ন না করা হয় তাহলে বঁচে থাকা কঠিন হয়ে পরবে।

উপদেষ্টা বলেছেন,নারীরা অত্যন্ত যত্নের সাথে গবাদি পশু পালন করে থাকে। চরাঞ্চলে যাদের কিছুই নাই এমনকি স্বামী পরিত্যক্ত তারাও গবাদি পশু পালন করে বেঁচে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন খামারী এবং কোম্পানিগুলো দুধ ও মাংসের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য ওষুধ ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ দুধ ও মাংস সরবরাহ করছে কিনা সেলক্ষ্যে সাবাইকে কাজ করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেছেন, দেশীয় জাতের গরুর দুধের নির্ভরশীলতা বিদেশী গরুর চেয়ে কম হলেও বেশি দুধের আশায় ফিড নির্ভরতা না হয়ে খামারীদের গোচারণ ভূমি নির্ভর হতে হবে এবং তা রক্ষা করতে হবে। কৃষিতে আগাছানাশক ঘাস মারতে হার্বিসাইড প্রয়োগ করার ফলে গরুর ঘাস নষ্ট হচ্ছে, এবিষয়ে কৃষির সাথে সমন্বয় করা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ক্ষুদ্র খামারীরা গ্রামের ঘরে ঘরে আছে। তাদের সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে দুধের ঘাটতি মিটিয়ে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবে।

এফএলজেএফ’র সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তৃতা করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব ডা. মো. রেয়াজুল হক, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. এম এ সালেক, এতে স্বাগত বক্তৃতা করেছেন করেছেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো:বায়েজীদ মুন্সী, তৃণমূলের ক্ষুদ্র খামারীরা এসময় বক্তৃতা করেছেন।