দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

  • Update Time : ০৮:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 11

বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির করতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফেরেস তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ফেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন যে ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা দুটি দেশের জন্য সম্ভাব্য বৃদ্ধি হতে পারে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের পক্ষে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে এটিকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চাই।

ব্রাজিল থেকে বর্তমানে চিনি, সয়াবিন এবং কাঁচা তুলা রপ্তানি করে বাংলাদেশে। বাংলাদেশও দেশ থেকে বছরে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করে।

রাষ্ট্রদূত ফেরেস বলেন, ব্রাজিল স্থানীয় বাজারকে প্রভাবিত না করে বাংলাদেশেও মাংস রপ্তানি করতে পারে এবং এটি বাংলাদেশিদের জন্য প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হতে পারে।

তিনি সবুজ শক্তি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, কৃষি এবং বিজ্ঞানকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, আসুন আরও সুযোগ সন্ধানের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।

রাষ্ট্রদূত ফেরেস দারিদ্র্য ও ক্ষুধার প্রতি বৈশ্বিক জোটের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে জানুয়ারিতে আসন্ন যুব উৎসবে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে ব্রাজিলকে অনুরোধ করেন।

Please Share This Post in Your Social Media


দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Update Time : ০৮:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির করতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফেরেস তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ফেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছিলেন যে ব্রাজিল ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা দুটি দেশের জন্য সম্ভাব্য বৃদ্ধি হতে পারে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের পক্ষে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে এটিকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চাই।

ব্রাজিল থেকে বর্তমানে চিনি, সয়াবিন এবং কাঁচা তুলা রপ্তানি করে বাংলাদেশে। বাংলাদেশও দেশ থেকে বছরে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করে।

রাষ্ট্রদূত ফেরেস বলেন, ব্রাজিল স্থানীয় বাজারকে প্রভাবিত না করে বাংলাদেশেও মাংস রপ্তানি করতে পারে এবং এটি বাংলাদেশিদের জন্য প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হতে পারে।

তিনি সবুজ শক্তি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, কৃষি এবং বিজ্ঞানকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে বলেন, আসুন আরও সুযোগ সন্ধানের জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।

রাষ্ট্রদূত ফেরেস দারিদ্র্য ও ক্ষুধার প্রতি বৈশ্বিক জোটের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে জানুয়ারিতে আসন্ন যুব উৎসবে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাতে ব্রাজিলকে অনুরোধ করেন।