ড. ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’, ব্যাখ্যা দিল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

  • Update Time : ১১:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • / 11

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ থেকে উচ্চারিত এই শব্দযুগল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি করেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। অবশেষে রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস যখন রিসেট বোতাম টিপানোর কথা বলেছিলেন, তখন তিনি দুর্নীতিবাজ রাজনীতি থেকে একটি নতুন সূচনা করতে চেয়েছিলেন; যা বাংলাদেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষের ভোটের অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করেছে।’

প্রেস উইং বলছে, ‘বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থ তিনি (ড. ইউনূস) করেননি।’

এদিকে, মঙ্গলবার নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র ইউটিউব চ্যানেলে খালিদ মহিউদ্দিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, রিসেট বাটন বলতে স্যার (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যেটা বলেছেন— তা হচ্ছে ‘ব্যবস্থা’। এটা কোনোভাবেই ৭১ নয়, কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধ নয়।

তিনি বলেন, যে ব্যবস্থা দিয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার তৈরি হয়, সেই ব্যবস্থাকে রিসেট করার কথা বলেছেন স্যার। সেই ব্যবস্থার ওপর ‘রিসেট বাটন’ টেপা হবে, আমরা একটা ‘নতুন ব্যবস্থা’র ভেতরে ঢুকব’।

এ সময় মাহফুজ আলম তার ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, আন্দোলনে নাহিদ ইসলাম যে এক দফা ঘোষণা করেছিলেন, যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, স্যার মূলত সেই ব্যবস্থার কথাই বলেছেন। ১৯৭১ ও মুক্তিযুদ্ধ সরকার ও আন্দোলনকারীদের কাছে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার ও আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের সবার অবস্থান খুবই স্পষ্ট যে- ১৯৭১ আমাদের জন্য একটা মাইলস্টোন। ওখান থেকে আমরা শুরু করব। শুধু ওখান থেকেই শুধু নয়, আমাদের একটা বিষয় অনালোচিত ছিল ‘৪৭-এর প্রশ্ন। আমরা ৪৭, ৭১ ও ২৪ কে এক সুতোই গাঁথার চেষ্টায় আছি।

সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, পলিটিক্যাল কমকিউনিটি আকারে বাংলাদেশের জনগণ যে লড়াইটা করেছিল বিশেষ করে বাঙালি মুসলমান, এই লড়াইটাতে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। ৭১ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ড. ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’, ব্যাখ্যা দিল প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

Update Time : ১১:৩২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের এক বক্তব্যের জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ থেকে উচ্চারিত এই শব্দযুগল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও সৃষ্টি করেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। অবশেষে রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস যখন রিসেট বোতাম টিপানোর কথা বলেছিলেন, তখন তিনি দুর্নীতিবাজ রাজনীতি থেকে একটি নতুন সূচনা করতে চেয়েছিলেন; যা বাংলাদেশের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষের ভোটের অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা হরণ করেছে।’

প্রেস উইং বলছে, ‘বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাসকে মুছে ফেলার অর্থ তিনি (ড. ইউনূস) করেননি।’

এদিকে, মঙ্গলবার নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র ইউটিউব চ্যানেলে খালিদ মহিউদ্দিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিসেট বাটনের ব্যাখ্যা দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, রিসেট বাটন বলতে স্যার (প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) যেটা বলেছেন— তা হচ্ছে ‘ব্যবস্থা’। এটা কোনোভাবেই ৭১ নয়, কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধ নয়।

তিনি বলেন, যে ব্যবস্থা দিয়ে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার তৈরি হয়, সেই ব্যবস্থাকে রিসেট করার কথা বলেছেন স্যার। সেই ব্যবস্থার ওপর ‘রিসেট বাটন’ টেপা হবে, আমরা একটা ‘নতুন ব্যবস্থা’র ভেতরে ঢুকব’।

এ সময় মাহফুজ আলম তার ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, আন্দোলনে নাহিদ ইসলাম যে এক দফা ঘোষণা করেছিলেন, যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, স্যার মূলত সেই ব্যবস্থার কথাই বলেছেন। ১৯৭১ ও মুক্তিযুদ্ধ সরকার ও আন্দোলনকারীদের কাছে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, সরকার ও আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছে তাদের সবার অবস্থান খুবই স্পষ্ট যে- ১৯৭১ আমাদের জন্য একটা মাইলস্টোন। ওখান থেকে আমরা শুরু করব। শুধু ওখান থেকেই শুধু নয়, আমাদের একটা বিষয় অনালোচিত ছিল ‘৪৭-এর প্রশ্ন। আমরা ৪৭, ৭১ ও ২৪ কে এক সুতোই গাঁথার চেষ্টায় আছি।

সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, পলিটিক্যাল কমকিউনিটি আকারে বাংলাদেশের জনগণ যে লড়াইটা করেছিল বিশেষ করে বাঙালি মুসলমান, এই লড়াইটাতে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। ৭১ আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।