অ্যাড. লোকমান শাহ হতে চান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক
- Update Time : ০২:৫৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / 92
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক কমিটি গত (০১ সেপ্টেম্বর২০২৪) রোববার কেন্দ্র থেকে বিলুপ্ত করে দেয়ায় অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
তবে যে কোনো মুহূর্তেই ঘোষণা হতে পারে চট্টগ্রাম দঃজেলা বিএনপির নতুন কমিটি।ইতোমধ্যে কমিটি গঠনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও শোনা গেছে দলটির কেন্দ্রীয়নেতাকর্মীদের কাছ থেকে।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই।
তাদের মধ্যে দৌঁড়ে পিছিয়ে নেই চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার” মুক্তিমঞ্চ”এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট এম,লোকমান শাহ্।
তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে তৃণমূল নেতৃত্বের হাল ধরতে চান। প্রতিবেদকের কথা হয় এবিষয়ে, এম,লোকমান শাহ্এর সাথে।তিনি এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগাম প্রতিদিনকে বলেন ,দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিতে যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি মাত্র।তিনি নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ দাবি করে বলেন,আমি ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক আদর্শে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে এসেছি,এবং মাঠ পর্যায়ে যোগ্যতার পরিচয়ও দিয়েছি ।তবে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি,মাদক এবং ক্যাসিনোর মতো জুঁয়ায় নিজেকে জড়াইনি।,এইসব অপকর্মের বিরোধীতা করে এসেছি সবসময়।
নিজের কাছে কি মনে হয়? চট্টগ্রাম দঃজেলা বিএনপির রাজনীতিতে আপনি একজন যোগ্য প্রার্থী ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিল।প্রতিকূলতায় আন্দোলন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে কারাভোগ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি’র অনেক নেতা কর্মীকে। সে সময়ে দুই দুইবার কারাগারে বন্দী জীবন কাটাতে হয়েছে আমাকে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি’র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট অনূকুলে ।আমার বিশ্বাসমতে দলের হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দ ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব খুঁজছেন কমিটির দায়িত্বভার অর্পনের জন্যে।আমি মনে করি আমার সিনিয়র নেতৃবৃন্দের দুরদর্শী চিন্তা চেতনায় এবং তীক্ষ্ণ নজরে আমি বাদ পড়বোনা যোগ্যতার বিচারে। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে, রাজপথে ভূমিকা রেখেছি । এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে ও একজন আইনজীবী হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার অপরাধে দীর্ঘসময় আমি কারাভোগ করেছি। আজকে সুদিনে এসেছে আমাদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। সে দৃষ্টিকোণে আমি চট্টগ্রাম দঃজেলা বিএনপির কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।
সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আপনার আগামী পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নন্দিত জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক চট্টগ্রাম দঃ জেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে চাই।তৃনমূল পর্যায়ে অবহেলিত এবং ঝিমিয়ে পড়া নেতা কর্মীদের সক্রিয় করে জনগনের কাছে বিএনপির রাজনীতির সুবাতাস ছড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে নিতে চাই বিএনপি সকল কর্মসূচি ও কর্মকান্ডকে।এছাড়াও কমিটি গঠনে রাজপথের কর্মীদের সর্বাগ্রে প্রাধান্য দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন,থানা,উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায় থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে কমিটি গঠন করে শক্তিশালী করতে চাই দলকে। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিএনপির ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত এবং বিএনপি পরিবারের সন্তান এমন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিতে চাই।
ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন লোকমান শাহ,আনোয়ারা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের দলের কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশ বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে আবারো ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ ৩৮ দিন কারাবন্দী থাকার পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে মুক্তি পান তিনি।