কুমিল্লার ১৪ উপজেলায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি

  • Update Time : ১১:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • / 17

 

টানা কয়েক দিনের বর্ষা এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িসহ দেশের ১৪ জেলা প্লাবিত হয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার ১৪টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। যাতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

কুমিল্লা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. আবেদ আলির তথ্য অনুযায়ী- চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়াসহ জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪ উপজেলার ১১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ লাখের বেশি মানুষ। যা বেসরকারি হিসেবে ১০ লাখেরও বেশি। তিনি বলেন, আমরা বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার, নিরাপদ খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছি। এই সহায়তা অব্যাহত রাখতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদা আবেদন পাঠিয়েছি।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আমাদের ২২৭টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পংকজ বড়ুয়া বলেন,বন্যাদুর্গত এলাকায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের জন্য শুকনো খাবার স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ আছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে।

Please Share This Post in Your Social Media

কুমিল্লার ১৪ উপজেলায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি

Update Time : ১১:৪৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

 

টানা কয়েক দিনের বর্ষা এবং উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ফেনী, নোয়াখালী, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, লক্ষ্মীপুর, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িসহ দেশের ১৪ জেলা প্লাবিত হয়েছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার ১৪টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। যাতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ।

কুমিল্লা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. আবেদ আলির তথ্য অনুযায়ী- চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, সদর দক্ষিণ, বরুড়া, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়াসহ জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৪ উপজেলার ১১৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ লাখের বেশি মানুষ। যা বেসরকারি হিসেবে ১০ লাখেরও বেশি। তিনি বলেন, আমরা বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার, নিরাপদ খাবার পানিসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করেছি। এই সহায়তা অব্যাহত রাখতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চাহিদা আবেদন পাঠিয়েছি।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাসিমা আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আমাদের ২২৭টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পংকজ বড়ুয়া বলেন,বন্যাদুর্গত এলাকায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যাকবলিতদের জন্য শুকনো খাবার স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ আছে। ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত আছে।