বিমান বাহিনীর বহরে আরেকটি মার্কিন সি-১৩০জে
- Update Time : ০২:০৭:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
- / 112
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আরেকটি সামরিক পরিবহন উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সি-১৩০জে মডেলের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচটিতে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করে বিমানটি। এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এয়ার কমডোর সৈয়দ ফকরুদ্দিন মাসুদ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমান সরকার বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে অত্যন্ত সচেষ্ট। তারই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৫টি অত্যাধুনিক সি-১৩০জে পরিবহন বিমান যুক্তরাজ্যের রয়েল এয়ার ফোর্সের সঙ্গে সরাসরি ক্রয় চুক্তি এবং মার্শাল এরোস্পেস অ্যান্ড ডিফেন্স গ্রুপের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তির মাধ্যমে বিমান বাহিনীতে সংযোজনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ওই বিমানগুলোর মধ্যে পঞ্চম সি-১৩০জে বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব বৈমানিকের সফল ফেরি মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অবতরণ করে। যাত্রাপথে বিমানটি আনতালিয়া (তুরস্ক) ও মাসকাট (ওমান) এ যাত্রাবিরতি করে। ঐতিহ্যগত রীতি মোতাবেক বিমানটিকে বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
এ সময় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্য হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা।
ওই ফেরি মিশনের সব কার্যক্রম বিমান বাহিনীর ওভারসিস এয়ার অপারেশন পরিদফতর পরিচালনা করে।
সি-১৩০জে পরিবহন বিমান অত্যাধুনিক এভিওনিক্স ও উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন বিমান যা মালামাল ও সৈন্য পরিবহনসহ দেশে এবং বিদেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ব্যবহৃত হবে।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক এই সি-১৩০জে বিমানের অন্তর্ভুক্তি, বিমান বাহিনীর বিশ্বের যে কোনো স্থানে পৌঁছানো ও পরিচালন ক্ষমতা সর্বোপরি বাহিনীর সক্ষমতাকে বহুলাংশে বাড়াবে।