দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার দাবি কুবি শিক্ষক সমিতির

  • Update Time : ০৮:০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • / 43

কুবি প্রতিনিধি:

গত ২৮ এপ্রিল অছাত্র ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার বিচার ও পূর্ব ঘোষিত দাবিসমূহ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সকল নিয়োগ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে চলমান রাখা যাবে পদোন্নতি (আপগ্রেডেশন) কার্যক্রম। এছাড়াও শর্তপূরণ হওয়ার পরও যাদের পদোন্নতি ‘আটক’ রাখা হয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তিও যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করা হয় সে দাবিও জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (১১ জুন) উপাচার্য বরাবর প্রেরিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ১১ জুন শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা এবং গত ২৮ মে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি (আপগ্রেডেশন) ব্যতীত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পর্যায়ের সকল নিয়োগ যেন বন্ধ রাখা হয়। তবে ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ হওয়া সত্ত্বেও পদোন্নতি কিংবা স্থায়ীকরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাঁদের বিষয়টিও যেন অতিদ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়।

এছাড়াও চিঠিতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ে এবং ২৮ এপ্রিল উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক, বহিরাগত সন্ত্রাসী, ও বিভিন্ন মামলার আসামি সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্বারা শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা৷

এদিকে গত ১০ জুন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে মেইল মারফতে একটি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত সমূহ অবগত করে চিঠি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে কর্মকর্তা জাকির হোসেন কে ওএসডি করা সহ বেশ শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া সহ ১৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনা সহ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখার দাবি কুবি শিক্ষক সমিতির

Update Time : ০৮:০৯:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

কুবি প্রতিনিধি:

গত ২৮ এপ্রিল অছাত্র ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার বিচার ও পূর্ব ঘোষিত দাবিসমূহ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সকল নিয়োগ বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে চলমান রাখা যাবে পদোন্নতি (আপগ্রেডেশন) কার্যক্রম। এছাড়াও শর্তপূরণ হওয়ার পরও যাদের পদোন্নতি ‘আটক’ রাখা হয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তিও যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করা হয় সে দাবিও জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (১১ জুন) উপাচার্য বরাবর প্রেরিত শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মাহমুদুল হাছান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ১১ জুন শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা এবং গত ২৮ মে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতি (আপগ্রেডেশন) ব্যতীত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পর্যায়ের সকল নিয়োগ যেন বন্ধ রাখা হয়। তবে ইতোমধ্যে যারা শর্ত পূরণ হওয়া সত্ত্বেও পদোন্নতি কিংবা স্থায়ীকরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাঁদের বিষয়টিও যেন অতিদ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়।

এছাড়াও চিঠিতে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যের কার্যালয়ে এবং ২৮ এপ্রিল উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক, বহিরাগত সন্ত্রাসী, ও বিভিন্ন মামলার আসামি সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্বারা শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তারা৷

এদিকে গত ১০ জুন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরকে মেইল মারফতে একটি চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৫ তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত সমূহ অবগত করে চিঠি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে কর্মকর্তা জাকির হোসেন কে ওএসডি করা সহ বেশ শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়া সহ ১৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনা সহ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।