ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম আর বাড়ছে না

  • Update Time : ০৭:১৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / 60

ডলারের দাম বেড়ে গেলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না। আশ করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরোনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্থে পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখবো।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আগে ডলারের যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল সেটাই অব্যাহত থাকবে। ঈদের আগ পর্যন্ত ডলারের নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না।’

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি নির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা ১২২ টাকা-একেক জন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটেলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন। এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানি নির্ভর পণ্য, বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দামে কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করব না।

মন্ত্রী বলেন, আশা করছি, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে ডলারের মূল্য বেঁধে দেব না। উৎপাদনকারী বা আমদানিকারকরা ডলারের আগের দামেই পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। ভোক্তাদের সুবিধার্থে ডলারের দাম বাড়লেও পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখব।

তাহলে ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে ডলারের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করব।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঈদ পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম আর বাড়ছে না

Update Time : ০৭:১৬:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

ডলারের দাম বেড়ে গেলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে দাবি করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, আমদানিনির্ভর পণ্য বিশেষ করে ভোজ্যতেলের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করবো না। আশ করছি উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক যারা আছেন, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে কোনো মূল্য বেঁধে দেবে না। পুরোনো মূল্যেই তারা সরবরাহ করতে পারবেন। ডলারের দাম বাড়লেও ভোক্তাদের সুবিধার্থে পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখবো।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আগে ডলারের যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল সেটাই অব্যাহত থাকবে। ঈদের আগ পর্যন্ত ডলারের নতুন কোনো দাম নির্ধারণ করা হবে না।’

ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি নির্ভর পণ্যের দামও বাড়বে। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করে বলতে চাই, ডলারের অ্যাডজাস্টমেন্টটা হলো ১০ টাকা থেকে ১৭ টাকা পর্যন্ত। এতে ভোক্তা পর্যায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ আমদানিকারকরা তখনই অভিযোগ করছিলেন যে ব্যাংক থেকে তারা সরকারি রেটে ডলার পাচ্ছিলেন না, তারা তখনই ১২০ টাকা ১২২ টাকা-একেক জন একেকভাবে প্রাইভেটলি সেটেলড (নিষ্পত্তি) করছিলেন। এখন সরকার সমন্বয় করার কারণে সরকারি রেটেই তারা আমদানি করতে পারবেন। কাজেই আমদানি নির্ভর পণ্য, বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দামে কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট (সমন্বয়) করব না।

মন্ত্রী বলেন, আশা করছি, ঈদ পর্যন্ত নতুন করে ডলারের মূল্য বেঁধে দেব না। উৎপাদনকারী বা আমদানিকারকরা ডলারের আগের দামেই পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। ভোক্তাদের সুবিধার্থে ডলারের দাম বাড়লেও পণ্যের দাম একই পর্যায় রাখব।

তাহলে ঈদের পরে ক্রেতাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা একটা আন্তর্জাতিক পণ্য। কোথায় যুদ্ধ হবে, অর্থনীতির কোথায় কী হবে, সেটা নিয়ে আগাম ধারণা করা যাবে না। তবে এই মুহূর্তে নতুন করে ডলারের মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি না। যদি আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করব।