বেক্সিমকোর ফ্লোর তোলার কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন
- Update Time : ০৩:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪
- / 58
দুই গুজবে টালমাটাল দেশের পুঁজিবাজার। গুজব অনুসারে-আগামী সপ্তাহে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে, অন্যদিকে আরও কিছু কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রত্যাহার এবং আরও কিছু কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো সংক্রান্ত প্রচারণার কোনো ভিত্তি নেই। এগুলো স্রেফ গুজব। কোনো স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে এগুলো ছড়িয়ে থাকতে পারে।
পুঁজিবাজারে বড় দর পতন এড়াতে ২০২২ সালের জুলাই মাসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত সব কোম্পানির শেয়ারে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করে। সম্প্রতি অর্থনীতি ও বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় পর্যায়ক্রমে বেশিরভাগ কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রত্যাহার করা হয়। আগামী ১৮ মার্চ রবি আজিয়াটার ফ্লোর উঠে যাবে। বাকী থাকছে কেবল ৬ কোম্পানির ফ্লোর। কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বাজারে ব্যাপকভাবে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, আগামী সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর তুলে নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে রেকর্ড তারিখের পরদিন গ্রামীণ ফোন ও বিএটিবিসির শেয়ারে ফ্লোর উঠে যাওয়ায় ব্যাপক দরপতন হয়। তাই বেক্সিমকোর ফ্লোর তুলে নেওয়ার গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে আরও কিছু কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হতে পারে এমন গুজবেও অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে উদ্বেগ ছড়ায়। এর প্রভাব পড়ে বৃহস্পতিবারের লেনদনে। এদিন উর্ধমুখী ধারায় লেনদেন শুরু হলেও গুজবের প্রভাবে বাজার দিক বদলাতে থাকে। লেনদেন শেষ হয় বড় পতন দিয়ে। ডিএসইতে প্রধান সূচক ৫৩ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে যায়। এদিন বাজারে ৩৯৬ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়, যার মধ্যে ৩০৪টি বা ৭৭ ভাগ কোম্পানি শেয়ারের দর হারায়।
তবে বেক্সিমকো লিমিটেডের ফ্লোর উঠে যাওয়া কিংবা নতুন করে কোন কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে সরিয়ে আনার বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
শনিবার (০৯ মার্চ) বিএসইসির মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসূচককে বলেন, বেক্সিমকো কিংবা ফ্লোর প্রাইজে থাকা বাকি কোম্পানিগুলোর ফ্লোর উঠার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পূর্বের নির্দেশনাই কার্যকর থাকবে। এখনো যে কয়টি কোম্পানির শেয়ার দরে ফ্লোর প্রাইজ কার্যকর আছে তাদের ফ্লোর উঠে যাওয়ার ব্যাপারে কমিশনে কোন আলোচনা বা সিদ্ধান্ত হয়নি।
ক্যাটাগরি পরিবর্তন নিয়ে তিনি বলেন, ক্যাটাগরি পরিবর্তন সাধারণত স্টক এক্সচেঞ্জ নিজেই করে থাকে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফ থেকে বর্তমানে এ সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা নেই। তবে ক্যাটাগরি পরবর্তনের ক্ষেত্রে বিএসইসির সর্বশেষ নির্দেশনাই কার্যকর থাকবে।