অপর মামলায়ও অব্যাহতি পেলেন জগন্নাথের শিক্ষার্থী খাদিজা

  • Update Time : ০১:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 82

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন।

এই মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানির শুরুতে খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন আদালত।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি অব্যাহতি পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী। ফলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় অব্যাহতি মিলেছে।

‘সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউ মার্কেট থানায় দুটি মামলা হয়।

সপ্তাহের ব্যবধানে করা মামলা দুটির এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম। মামলার দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ অগাস্ট খাদিজাকে গ্রেফতার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। এরপর নিম্ন আদালতে খাদিজার জামিন আবেদন কয়েক দফায় নাকচ হয়েছে। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ জুলাই বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে। পরে আদালত বিষয়টি চার মাসের জন্য মুলতবি করে। গত ১৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টের জামিন আদেশই বহাল থাকে। তাতে ১৫ মাস কারাভোগের পর গত ২০ নভেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অপর মামলায়ও অব্যাহতি পেলেন জগন্নাথের শিক্ষার্থী খাদিজা

Update Time : ০১:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন।

এই মামলায় আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানির শুরুতে খাদিজার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন আদালত।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান থানায় দায়ের করা আরেক মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি অব্যাহতি পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী। ফলে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই মামলায় অব্যাহতি মিলেছে।

‘সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউ মার্কেট থানায় দুটি মামলা হয়।

সপ্তাহের ব্যবধানে করা মামলা দুটির এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম। মামলার দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ অগাস্ট খাদিজাকে গ্রেফতার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। এরপর নিম্ন আদালতে খাদিজার জামিন আবেদন কয়েক দফায় নাকচ হয়েছে। গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট তাকে জামিন দিলেও তা স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ জুলাই বিষয়টি আপিল বিভাগে ওঠে। পরে আদালত বিষয়টি চার মাসের জন্য মুলতবি করে। গত ১৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় হাইকোর্টের জামিন আদেশই বহাল থাকে। তাতে ১৫ মাস কারাভোগের পর গত ২০ নভেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান খাদিজা।