জেতেনি ভারত, টসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

  • Update Time : ০৯:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / 93

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ট্রাইব্রেকারে সমতা থাকায় টসের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। সেখানে টস জয়ী ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। প্রতিবাদের এক পর্যায়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন ম্যাচ কমিশনার। তবে ম্যাচ কমিশনারের সিদ্ধান্ত আবার মেনে নেয়নি ভারত।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মাঠেই ছিলেন। তবে ভারতীয়রা মাঠ ছেড়ে উঠে গেছেন। তাদেরকে পুনরায় মাঠে নামানোর চেষ্টা করছেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। ভারত মাঠে না নামলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত। গোলে শোধে মরিয়া সাগরিকা-স্বপ্নারা বারবার আক্রমণে উঠলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর নেমে আবারও আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে কিছুতেই নিশানাভেদ করতে পারছিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত লিড ধরে রাখে ভারত। তবে শেষ বাঁশি বাজার আগে অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায় সাগরিকা। পেনাল্টির তৃতীয় মিনিটে অর্থাৎ এক্সট্রা সময়ে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।

এরপর ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। যেখানে দু’দলকেই ১১টি করে শট নিতে হয়েছে। তবে কোনো দলের গোলকিপার একটি বলও আটকাতে পারেননি। দুই দল মিলে ২২টি পেনাল্টি নিয়ে সবকটিতেই বল জালে জড়িয়েছেন। এরপরই দেখা যায় ‘অদ্ভূত’ নিয়ম। করা হয় টস। ভারত অধিনায়ক টসে জেতায় তাদেরকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। এই নিয়মটি মেনে নেয়নি বাংলাদেশ। কোচিং স্টাফদের পাশাপাশি খেলোয়াড়রাও তীব্র অসন্তোষ জানান। মাঠেই বাংলাদেশ কোচকে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সামনে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। পরে টসে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন ম্যাচ কমিশনার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জেতেনি ভারত, টসের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার

Update Time : ০৯:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ট্রাইব্রেকারে সমতা থাকায় টসের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। সেখানে টস জয়ী ভারতকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ। প্রতিবাদের এক পর্যায়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছেন ম্যাচ কমিশনার। তবে ম্যাচ কমিশনারের সিদ্ধান্ত আবার মেনে নেয়নি ভারত।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মাঠেই ছিলেন। তবে ভারতীয়রা মাঠ ছেড়ে উঠে গেছেন। তাদেরকে পুনরায় মাঠে নামানোর চেষ্টা করছেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। ভারত মাঠে না নামলে বাংলাদেশকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক বাংলাদেশ ও ভারত। ম্যাচের ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় ভারত। গোলে শোধে মরিয়া সাগরিকা-স্বপ্নারা বারবার আক্রমণে উঠলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না। প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর নেমে আবারও আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে কিছুতেই নিশানাভেদ করতে পারছিল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত লিড ধরে রাখে ভারত। তবে শেষ বাঁশি বাজার আগে অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায় সাগরিকা। পেনাল্টির তৃতীয় মিনিটে অর্থাৎ এক্সট্রা সময়ে গোল করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।

এরপর ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। যেখানে দু’দলকেই ১১টি করে শট নিতে হয়েছে। তবে কোনো দলের গোলকিপার একটি বলও আটকাতে পারেননি। দুই দল মিলে ২২টি পেনাল্টি নিয়ে সবকটিতেই বল জালে জড়িয়েছেন। এরপরই দেখা যায় ‘অদ্ভূত’ নিয়ম। করা হয় টস। ভারত অধিনায়ক টসে জেতায় তাদেরকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। এই নিয়মটি মেনে নেয়নি বাংলাদেশ। কোচিং স্টাফদের পাশাপাশি খেলোয়াড়রাও তীব্র অসন্তোষ জানান। মাঠেই বাংলাদেশ কোচকে ম্যাচ অফিসিয়ালদের সামনে উত্তেজিত হতে দেখা যায়। পরে টসে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন ম্যাচ কমিশনার।