পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

  • Update Time : ০৭:১২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 115

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। তিনি শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানান।

সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদ্রাসাশিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদ্রাসাশিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদ্রাসার জন্য প্রণীত পাঠ্য বইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এ উপমহাদেশের হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলীয়া মাদ্রাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক, যা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার ১৮০০ মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মাদ্রাসা এমপিওভূক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রী এ সময় মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ বিবেচনা করা হবে বলে জানান।

এ সময় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই তারা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

মতবিনিময় সভায় শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার মাদ্রাসায় প্রকৃত ইসলামের চর্চার পরিবেশ বজার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষকগণ জানান, নতুন শিক্ষাক্রম মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত সকলেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কমেছে, যা ঝরে পড়া রোধে সহায়তা করবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুর রশিদ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে সংশোধন করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

Update Time : ০৭:১২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিভ্রান্তিকর কিছু থাকলে তা সংশোধন করা হবে। তিনি শিক্ষাক্রমের বিরোধিতার নামে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানান।

সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা মাদ্রাসাশিক্ষক পরিষদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে মাদ্রাসাশিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে তারা মাদ্রাসার জন্য প্রণীত পাঠ্য বইয়ে তাদের মতামত প্রদান ও অবদান রাখতে পারবেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এ উপমহাদেশের হাজার বছর ধরে বহমান ইসলামী ভাবধারা দেশের আলীয়া মাদ্রাসায় চর্চা করা হয়। ইসলাম শিক্ষার বৈশিষ্ট্য অক্ষুণ্ণ রেখে মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাদরে গ্রহণ করেছেন। নতুন শিক্ষাক্রম দক্ষতামূলক, যা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। এর সঙ্গে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বীনি শিক্ষার উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সরকার ১৮০০ মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়াও প্রচুর সংখ্যক মাদ্রাসা এমপিওভূক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রী এ সময় মাদ্রাসা শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং যৌক্তিক দাবিসমূহ বিবেচনা করা হবে বলে জানান।

এ সময় কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জাতীয় পাঠ্যক্রমের বিষয় ছাড়াও ধর্মীয় বিষয় অধ্যয়ন করে। তাই তারা মূলধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

মতবিনিময় সভায় শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজু বলেন, অতীতে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠনের নামে কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন। তারা ইসলামের চর্চার চেয়ে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতাদর্শ প্রচারে অধিক ব্যস্ত ছিলেন। তবে বর্তমান সরকার মাদ্রাসায় প্রকৃত ইসলামের চর্চার পরিবেশ বজার রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।

সভায় সারা দেশ থেকে আগত শিক্ষকগণ জানান, নতুন শিক্ষাক্রম মাদ্রাসার সঙ্গে জড়িত সকলেই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। এর ফলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি কমেছে, যা ঝরে পড়া রোধে সহায়তা করবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আব্দুর রশিদ।