নির্বাচনে হেরে যা বললেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

  • Update Time : ১০:৫১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 206

এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:

প্রিয় সুন্দরগঞ্জবাসী, ব্যর্থতা সবসময় ব্যর্থতা নয়। এটি ভবিষ্যতের সাফল্যের পথ। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ নতুন সুযোগের জন্য আলো দেয়। আশা হারাবেন না ইতিবাচক রাজনীতি চালিয়ে যান। এছাড়াও আমার সকল সমাজ সেবা কাজ অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল ইত্যাদি আগের মতোই চলবে, ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

২৯ গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, আমার সকল সমাজ সেবা কাজ অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল ইত্যাদি আগের মতোই চলবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার একটি একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে এসব মন্তব্য জানা যায়।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে দুইবার এমপি ছিলেন।’

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ২৯, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে লড়াই করে ভোট যুদ্ধে তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারীর মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঢেঁকি) আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগরের কাছে হেরেছেন।

নির্বাচনের পরের বিষয়ে সোমবার বিকেলে তার নিজ ফেসবুক একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বলেন, প্রিয় সুন্দরগঞ্জবাসী আসসালামু আলাইকুম। গতকাল আমাদের সুন্দরগঞ্জের নির্বাচনের রেজাল্ট হয়েছে। নির্বাচনী রেজাল্ট দেখে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা আমি ব্যহত হলেও আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রায় ৪৪ হাজার লোক এরকম একটি ইলেকশনে আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমার সকল নেতাকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন।অবশ্যই সকলের দোষত্রুটি থাকে আমারও হয়ত ছিল। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির কিছু বিষয়ের কারণে আমরা এখানে হেরে গেছি। এ-হারটি মনে করি খুব স্থায়ী হার না।ভবিষ্যতে আবার ভোট হবে আবার ভোটে আমরা জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।

সকল নেতাকর্মীকে আমি উজ্জীবিত থাকতে বলছি। কোন প্রকার দ্বন্দ্বে জড়াবেন না। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং তার নেতাকর্মীদের বলব সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবেন। কোনভাবে কোন লোকের উপরে নির্যাতন করবেন না। কোন প্রকার উস্কানিমূলক কথা বলবেন না। শান্তির যে পরিবেশটা আমাদের সুন্দরগঞ্জে ছিল এটি যেন বজায় থাকে। সকল নেতাকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। সাধারণ মানুষ পরিশ্রম করেছেন। ৪৪ হাজার ভোটের একটি বিশাল ব্যাংক আমাদের তৈরি হয়েছিল। নুন্যতম এটা! শত বাঁধার মুখেও শত প্রতিহতের মুখেও শত প্রবণের মধ্যেও ৪৪ হাজার ভোট আমরা পেয়েছি। এটা সংসদীয় রাজনীতিতে, নির্বাচিত রাজনীতিতে অবশ্যই একটি মাইলফলক। সামনে কিছুদিন পর আমাদের হয়তো উপজেলা নির্বাচন হবে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে, পৌর মেয়র নির্বাচন হবে।আমাদের জাতীয় পার্টি অত্যন্ত সুসংগঠিত। সুসংগঠিত সংগঠন দিয়ে সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত স্বাপেক্ষে এবং নির্বাচনের পরিবেশ স্বাপেক্ষে অংশগ্রহণ করব। দল থাকবে দেশ থাকবে রাজনীতি থাকবে। সুন্দরগঞ্জে আমার যে চলমান জনসেবা মূলক কাজগুলো ছিল এম্বুলেন্স, হাসপাতাল সেগুলো চলমান থাকবে। আমরা চেষ্টা করবো ব্যক্তিগত অর্থে যতটুকু সম্ভব মানুষের পাশে থাকব। ৫ বছরে অনেক কাজ করতে পারছিলাম সেটার জন্য জনগণ কি মূল্যায়ন করলো জানিনা। যে কাজগুলো করতে পারিনি সেটার জন্য আমি অত্যান্ত দুঃখিত। হয়তোবা কোন একদিন সুযোগ পেলে সেগুলো করব। সবাইকে ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম, সকলে ভালো থাকবেন।

সদ্য বিদায়ী সাংসদের এমন ভিডিও আপলোড দেখে নেটিজেনরা মেতেছেন তাদের মন্তব্য করতে। ফেসবুকে নেটিজেনদের করা কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলো। মাসুদ পারভেজ নামে একজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, পছন্দের একটা মানুষ, যদিও আমি তার এলাকার না,সবসময় তার নির্বাচনের খোঁজ খবর রাখছিলাম, ব্যথিত হয়েছি উনার হারের খবর শুনে,,,উনি হারে নাই, হেরেছে সুন্দরগঞ্জের মানুষ।

এডভোকেট মহিবুল্লাহ খোকন নামে আরেকজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন,স্যার আপনি হেরেছেন এতে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমি আনন্দিত কারন আপনাকে আওয়ামী বাকশালিদের সহায়তাকারী হিসেবে বেমানান বোধ করতাম সর্বদা,একজন ভালো মানের জ্ঞানী, সুশিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ গনতন্ত্রের ও মানুষের আকাঙ্ক্ষার কাতারে আসুক এই বাসনা লালন করি।আপনাকে সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনবেন এটাই আল্লাহর ইচ্ছা বোধ হয়।

এদিকে আশরাফুল ইসলাম নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,গঠনমূলক বক্তব্য। অনেক আশাবাদী ছিলাম আপনার জয়ের ব্যাপারে ।ব্যাক্তি হিসেবে আপনাকে অনেক ভালো লাগে।

মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, মহান জাতীয় সংসদ একজন ব্যতিক্রমী চিন্তার স্বমহিমায় উজ্জ্বল সংসদ সদস্য এর শূন্যতায় ভোগবে আগামী ৫ টা বছর। ভালো থাকবেন স্যার, ভালবাসা অবিরাম।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


নির্বাচনে হেরে যা বললেন ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী

Update Time : ১০:৫১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৪

এনামুল হক, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:

প্রিয় সুন্দরগঞ্জবাসী, ব্যর্থতা সবসময় ব্যর্থতা নয়। এটি ভবিষ্যতের সাফল্যের পথ। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ নতুন সুযোগের জন্য আলো দেয়। আশা হারাবেন না ইতিবাচক রাজনীতি চালিয়ে যান। এছাড়াও আমার সকল সমাজ সেবা কাজ অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল ইত্যাদি আগের মতোই চলবে, ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

২৯ গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সদ্য বিদায়ী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, আমার সকল সমাজ সেবা কাজ অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল ইত্যাদি আগের মতোই চলবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার একটি একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে এসব মন্তব্য জানা যায়।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়ে দুইবার এমপি ছিলেন।’

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ২৯, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে লড়াই করে ভোট যুদ্ধে তারই নিকটতম প্রতিদ্বন্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস আফরুজা বারীর মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঢেঁকি) আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার সাগরের কাছে হেরেছেন।

নির্বাচনের পরের বিষয়ে সোমবার বিকেলে তার নিজ ফেসবুক একাউন্টে একটি ভিডিও আপলোড করেন।

১ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বলেন, প্রিয় সুন্দরগঞ্জবাসী আসসালামু আলাইকুম। গতকাল আমাদের সুন্দরগঞ্জের নির্বাচনের রেজাল্ট হয়েছে। নির্বাচনী রেজাল্ট দেখে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা আমি ব্যহত হলেও আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রায় ৪৪ হাজার লোক এরকম একটি ইলেকশনে আমাকে ভোট দিয়েছেন। আমার সকল নেতাকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন।অবশ্যই সকলের দোষত্রুটি থাকে আমারও হয়ত ছিল। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির কিছু বিষয়ের কারণে আমরা এখানে হেরে গেছি। এ-হারটি মনে করি খুব স্থায়ী হার না।ভবিষ্যতে আবার ভোট হবে আবার ভোটে আমরা জয়লাভ করবো ইনশাআল্লাহ।

সকল নেতাকর্মীকে আমি উজ্জীবিত থাকতে বলছি। কোন প্রকার দ্বন্দ্বে জড়াবেন না। যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি এবং তার নেতাকর্মীদের বলব সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করবেন। কোনভাবে কোন লোকের উপরে নির্যাতন করবেন না। কোন প্রকার উস্কানিমূলক কথা বলবেন না। শান্তির যে পরিবেশটা আমাদের সুন্দরগঞ্জে ছিল এটি যেন বজায় থাকে। সকল নেতাকর্মীরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। সাধারণ মানুষ পরিশ্রম করেছেন। ৪৪ হাজার ভোটের একটি বিশাল ব্যাংক আমাদের তৈরি হয়েছিল। নুন্যতম এটা! শত বাঁধার মুখেও শত প্রতিহতের মুখেও শত প্রবণের মধ্যেও ৪৪ হাজার ভোট আমরা পেয়েছি। এটা সংসদীয় রাজনীতিতে, নির্বাচিত রাজনীতিতে অবশ্যই একটি মাইলফলক। সামনে কিছুদিন পর আমাদের হয়তো উপজেলা নির্বাচন হবে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে, পৌর মেয়র নির্বাচন হবে।আমাদের জাতীয় পার্টি অত্যন্ত সুসংগঠিত। সুসংগঠিত সংগঠন দিয়ে সামনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত স্বাপেক্ষে এবং নির্বাচনের পরিবেশ স্বাপেক্ষে অংশগ্রহণ করব। দল থাকবে দেশ থাকবে রাজনীতি থাকবে। সুন্দরগঞ্জে আমার যে চলমান জনসেবা মূলক কাজগুলো ছিল এম্বুলেন্স, হাসপাতাল সেগুলো চলমান থাকবে। আমরা চেষ্টা করবো ব্যক্তিগত অর্থে যতটুকু সম্ভব মানুষের পাশে থাকব। ৫ বছরে অনেক কাজ করতে পারছিলাম সেটার জন্য জনগণ কি মূল্যায়ন করলো জানিনা। যে কাজগুলো করতে পারিনি সেটার জন্য আমি অত্যান্ত দুঃখিত। হয়তোবা কোন একদিন সুযোগ পেলে সেগুলো করব। সবাইকে ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম, সকলে ভালো থাকবেন।

সদ্য বিদায়ী সাংসদের এমন ভিডিও আপলোড দেখে নেটিজেনরা মেতেছেন তাদের মন্তব্য করতে। ফেসবুকে নেটিজেনদের করা কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলো। মাসুদ পারভেজ নামে একজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, পছন্দের একটা মানুষ, যদিও আমি তার এলাকার না,সবসময় তার নির্বাচনের খোঁজ খবর রাখছিলাম, ব্যথিত হয়েছি উনার হারের খবর শুনে,,,উনি হারে নাই, হেরেছে সুন্দরগঞ্জের মানুষ।

এডভোকেট মহিবুল্লাহ খোকন নামে আরেকজন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন,স্যার আপনি হেরেছেন এতে আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আমি আনন্দিত কারন আপনাকে আওয়ামী বাকশালিদের সহায়তাকারী হিসেবে বেমানান বোধ করতাম সর্বদা,একজন ভালো মানের জ্ঞানী, সুশিক্ষিত ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ গনতন্ত্রের ও মানুষের আকাঙ্ক্ষার কাতারে আসুক এই বাসনা লালন করি।আপনাকে সঠিক জায়গায় ফিরিয়ে আনবেন এটাই আল্লাহর ইচ্ছা বোধ হয়।

এদিকে আশরাফুল ইসলাম নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন,গঠনমূলক বক্তব্য। অনেক আশাবাদী ছিলাম আপনার জয়ের ব্যাপারে ।ব্যাক্তি হিসেবে আপনাকে অনেক ভালো লাগে।

মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, মহান জাতীয় সংসদ একজন ব্যতিক্রমী চিন্তার স্বমহিমায় উজ্জ্বল সংসদ সদস্য এর শূন্যতায় ভোগবে আগামী ৫ টা বছর। ভালো থাকবেন স্যার, ভালবাসা অবিরাম।