পুরান ঢাকায় আতশবাজি-ফানুস দিয়ে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন

  • Update Time : ১১:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 136

পুরান ঢাকায় ডিএমপির নিদর্শনা অমান্য করে আতশবাজি আর হরেক রকমের রঙিন ফানুস উড়িয়ে বরণ করা হচ্ছে খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০২৪। থার্টিফার্স্ট নাইটে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে যেন আয়োজনের কোনো কমতিই ছিল না রাজধানীর পুরান ঢাকায়।

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রাত ৮টা থেকে আতশবাজি, পটকা ফোটানোর মধ্য দিয়ে পুরান ২০২৩ সালকে বিদায় জানাচ্ছে পুরান ঢাকাবাসী।

আতশবাজির শব্দে মুখরিত হয় সূত্রাপুর, লক্ষ্মীবাজার, তাঁতীবাজার, বংশাল, ধোলাইখাল, নবাবপুর রোড, ওয়ারীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি দেখা যায় পুরান ঢাকার আকাশ ও অলিগলিজুড়ে। বর্ষবরণ উপলক্ষে বাড়ির ছাদে গানের আসরসহ নানা উৎসবের আয়োজন যেন চোখে পড়ার মতো। এখানকার প্রতিটি বাড়ির ছাদ যেন খ্রিস্টাব্দের নতুন আরেকটি বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার মূল মঞ্চ হয়ে ওঠে। ছাদে দল বেঁধে ফানুস ওড়ানো, বাজি ফোটানো আর উল্লাস। সব মিলিয়ে জীবনের আনন্দ যেন ছুঁয়ে গেছে নগরবাসীকে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দারা উৎসব খুব জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকেন। আতশবাজি, ফানুসের আর ডিজে লাইটিংয়ের আলোক ছটায় রঙিন হয়ে ওঠে পুরান ঢাকা। তবে এই উদযাপনের পেছনেও তৈরি হয় অনেক দুর্ঘটনার গল্প। আতশবাজি এবং ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রতিবছরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ জন্য এ বছর খ্রিস্টীয় নববর্ষ উৎসব উদযাপনে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। থার্টিফাস্ট নাইট উৎসবে রাজধানীবাসী যেন ফানুস ও আতশবাজি ওড়াতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ বেশ তৎপর ছিল।

এ ছাড়া দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরও থামানো যায়নি আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা শাওন বিশ্বাস রিপন বলেন, ‘আতশবাজি ও ফানুস উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। ডিএমপির নিদের্শনার কথা আমি শুনেছি। তবে মনে হয় না সবাই এই নিদের্শনা মানবে। আমি মনে করি, আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সবার সতর্ক থাকা উচিত। যত্রতত্র ফানুস না উড়িয়ে একটা নির্দিষ্ট স্থানে আমাদের সবার উদযাপন ও ফানুস ওড়ানো উচিত। কিন্তু আমরা দেখছি রাত ৮টার আগেই অনেকে বাসার ছাঁদে ও যত্রতত্র ফানুস ওড়াচ্ছে এবং আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে এটা উচিত না।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ঢাকাবাসী যাতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও থার্টিফাস্ট নাইট উৎসব সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারে, এ জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর অলিগলিতে। উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে; এ জন্য নজরদারি আছে পুলিশের। এ ছাড়া এই রাতে সব ধরনের বিস্ফোরকদ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে ওয়ারী, শাখারিবাজার, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, বংশাল ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে ফানুস ও আতশবাজি করতে। কেউ কেউ প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও বেশির ভাগই লুকিয়ে বিক্রি করেছে ফানুস। পুরান ঢাকার অনেক বাসিন্দা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থাকেন। তারাও সঙ্গে করে ফানুস নিয়ে এসেছেন এই থার্টিফার্স্ট নাইট উৎসব উপলক্ষে।

Please Share This Post in Your Social Media


পুরান ঢাকায় আতশবাজি-ফানুস দিয়ে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন

Update Time : ১১:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

পুরান ঢাকায় ডিএমপির নিদর্শনা অমান্য করে আতশবাজি আর হরেক রকমের রঙিন ফানুস উড়িয়ে বরণ করা হচ্ছে খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০২৪। থার্টিফার্স্ট নাইটে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে যেন আয়োজনের কোনো কমতিই ছিল না রাজধানীর পুরান ঢাকায়।

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রাত ৮টা থেকে আতশবাজি, পটকা ফোটানোর মধ্য দিয়ে পুরান ২০২৩ সালকে বিদায় জানাচ্ছে পুরান ঢাকাবাসী।

আতশবাজির শব্দে মুখরিত হয় সূত্রাপুর, লক্ষ্মীবাজার, তাঁতীবাজার, বংশাল, ধোলাইখাল, নবাবপুর রোড, ওয়ারীসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা উজ্জ্বল আলোর ঝলকানি দেখা যায় পুরান ঢাকার আকাশ ও অলিগলিজুড়ে। বর্ষবরণ উপলক্ষে বাড়ির ছাদে গানের আসরসহ নানা উৎসবের আয়োজন যেন চোখে পড়ার মতো। এখানকার প্রতিটি বাড়ির ছাদ যেন খ্রিস্টাব্দের নতুন আরেকটি বর্ষকে বরণ করে নেওয়ার মূল মঞ্চ হয়ে ওঠে। ছাদে দল বেঁধে ফানুস ওড়ানো, বাজি ফোটানো আর উল্লাস। সব মিলিয়ে জীবনের আনন্দ যেন ছুঁয়ে গেছে নগরবাসীকে।

পুরান ঢাকার বাসিন্দারা উৎসব খুব জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকেন। আতশবাজি, ফানুসের আর ডিজে লাইটিংয়ের আলোক ছটায় রঙিন হয়ে ওঠে পুরান ঢাকা। তবে এই উদযাপনের পেছনেও তৈরি হয় অনেক দুর্ঘটনার গল্প। আতশবাজি এবং ফানুস ওড়ানোর কারণে প্রতিবছরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ জন্য এ বছর খ্রিস্টীয় নববর্ষ উৎসব উদযাপনে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। থার্টিফাস্ট নাইট উৎসবে রাজধানীবাসী যেন ফানুস ও আতশবাজি ওড়াতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ বেশ তৎপর ছিল।

এ ছাড়া দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে ফানুস ও আতশবাজি বিক্রি বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরও থামানো যায়নি আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা শাওন বিশ্বাস রিপন বলেন, ‘আতশবাজি ও ফানুস উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। ডিএমপির নিদের্শনার কথা আমি শুনেছি। তবে মনে হয় না সবাই এই নিদের্শনা মানবে। আমি মনে করি, আতশবাজি ফোটানো ও ফানুস উড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সবার সতর্ক থাকা উচিত। যত্রতত্র ফানুস না উড়িয়ে একটা নির্দিষ্ট স্থানে আমাদের সবার উদযাপন ও ফানুস ওড়ানো উচিত। কিন্তু আমরা দেখছি রাত ৮টার আগেই অনেকে বাসার ছাঁদে ও যত্রতত্র ফানুস ওড়াচ্ছে এবং আতশবাজি ফোটানো হচ্ছে এটা উচিত না।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা যায়, ঢাকাবাসী যাতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও থার্টিফাস্ট নাইট উৎসব সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিকভাবে পালন করতে পারে, এ জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে পুরান ঢাকাসহ রাজধানীর অলিগলিতে। উৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে; এ জন্য নজরদারি আছে পুলিশের। এ ছাড়া এই রাতে সব ধরনের বিস্ফোরকদ্রব্য, আতশবাজি, পটকা ফোটানো বা ফানুস ওড়ানো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে থানাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তবে ওয়ারী, শাখারিবাজার, কামরাঙ্গীরচর, লালবাগ, বংশাল ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে ফানুস ও আতশবাজি করতে। কেউ কেউ প্রকাশ্যে বিক্রি করলেও বেশির ভাগই লুকিয়ে বিক্রি করেছে ফানুস। পুরান ঢাকার অনেক বাসিন্দা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থাকেন। তারাও সঙ্গে করে ফানুস নিয়ে এসেছেন এই থার্টিফার্স্ট নাইট উৎসব উপলক্ষে।