গাজায় এবার নতুন সংকট শীত

  • Update Time : ০২:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩
  • / 96

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার নতুন সংকট শীত। আবহাওয়ার এই পালাবদলে বৈরি হয়ে উঠেছে উপত্যকার আবহাওয়া। চরম বিপর্যয়ে খাদ্য পানি ও বাসস্থানহীন ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। শীতে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বহু লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গেল ৭ সপ্তাহে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। বাস্তুচ্যুত ১৫ লাখের বেশি মানুষ। তাদের আশ্রয় হয়েছে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে।

অবরুদ্ধ করে রাখায় খাদ্য পানি ও জ্বালানির অভাবে মানবেতর জীবনযাপনে গাজাবাসী। এবার জেঁকে বসেছে শীতও। বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া আরও কঠিন করে তুলেছে বেঁচে থাকার লড়াই।

গাজার এক বাসিন্দা জানান, আমাদের কোন কম্বল বিছানা এমনটি বালিশও নেই। পানির খোঁজে আমাদের অনেক দূরদূরান্ত পর্যন্ত যেতে হয়। শীতে পরিস্থিতি আর কঠিন হয়ে পড়েছে। জীবন বাঁচাতে আমি পুরো পরিবার নিয়ে এই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু আমাদের কাছে ওষুধ খাবার শীত নিবারণের কাপড় কিচ্ছু নেই। এইভাবে আমরা ধিরে ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবো।

সুপেয় পানি এবং পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে আশ্রয় শিবিরগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব। বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা।

গাজার এক নারী জানান, একটি পাতলা প্লাস্টিকের তাঁবুর নিচে আমরা থাকছি। সেখানে শীত আসতে না আসতেই ছোট বড় সবাই অসুস্থ হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসারও কোনো উপায় নেই।

চিকিৎসকদের শঙ্কা, গাজায় মানবিক সহায়তা ও জ্বালানির যোগান না বাড়ালে যুদ্ধের চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাবেন ঠাণ্ডা এবং অনাহারে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


গাজায় এবার নতুন সংকট শীত

Update Time : ০২:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় এবার নতুন সংকট শীত। আবহাওয়ার এই পালাবদলে বৈরি হয়ে উঠেছে উপত্যকার আবহাওয়া। চরম বিপর্যয়ে খাদ্য পানি ও বাসস্থানহীন ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। শীতে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বহু লোকের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গেল ৭ সপ্তাহে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। বাস্তুচ্যুত ১৫ লাখের বেশি মানুষ। তাদের আশ্রয় হয়েছে বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে।

অবরুদ্ধ করে রাখায় খাদ্য পানি ও জ্বালানির অভাবে মানবেতর জীবনযাপনে গাজাবাসী। এবার জেঁকে বসেছে শীতও। বৃষ্টি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়া আরও কঠিন করে তুলেছে বেঁচে থাকার লড়াই।

গাজার এক বাসিন্দা জানান, আমাদের কোন কম্বল বিছানা এমনটি বালিশও নেই। পানির খোঁজে আমাদের অনেক দূরদূরান্ত পর্যন্ত যেতে হয়। শীতে পরিস্থিতি আর কঠিন হয়ে পড়েছে। জীবন বাঁচাতে আমি পুরো পরিবার নিয়ে এই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু আমাদের কাছে ওষুধ খাবার শীত নিবারণের কাপড় কিচ্ছু নেই। এইভাবে আমরা ধিরে ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাবো।

সুপেয় পানি এবং পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবে আশ্রয় শিবিরগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব। বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে বৃদ্ধ এবং শিশুরা।

গাজার এক নারী জানান, একটি পাতলা প্লাস্টিকের তাঁবুর নিচে আমরা থাকছি। সেখানে শীত আসতে না আসতেই ছোট বড় সবাই অসুস্থ হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসারও কোনো উপায় নেই।

চিকিৎসকদের শঙ্কা, গাজায় মানবিক সহায়তা ও জ্বালানির যোগান না বাড়ালে যুদ্ধের চেয়েও বেশি মানুষ মারা যাবেন ঠাণ্ডা এবং অনাহারে।