মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

  • Update Time : ১০:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / 114

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের নেতৃত্বে ঢাকায় অবস্থানরত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বুধবার গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ফিলিস্তিন সংকট সমাধান সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সার্বক্ষণিক ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লার্বি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলী এম এস আল-কাতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব এস এম সুলিমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ আল দারাজি, ওমানের চার্জ ডি অ্যাফেয়াার্স ফাথিয়া আল-বুলুশি, ইন্দোনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স রাডেন উসমান এফেন্দি এবং মিশরের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ওআইসি সদস্য দেশগুলো গাজায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি বিশেষ করে সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অতীতের মতো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। শুক্রবার সারাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাত করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বৈঠকে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত গাজা এবং এর আশেপাশে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্মমতা বিস্তারিত বর্ণনা করে বলেন, এটি একটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সবচেয়ে উন্নত মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

ইউসেফ ওয়াই রমাদান বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গাজায় একটি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে, সেখানে বেশিরভাগ শিশু এবং গর্ভবতী মহিলারা। নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করে খিস্টানদের দ্বারা পরিচালিত ঐ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল এসব শিশু ও নারী।

বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশুনা করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করছেন বলেও এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান সম্ভব: প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ১০:০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদানের নেতৃত্বে ঢাকায় অবস্থানরত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা বুধবার গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ফিলিস্তিন সংকট সমাধান সম্ভব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ সার্বক্ষণিক ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লার্বি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মাজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলী এম এস আল-কাতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব এস এম সুলিমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওথমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ আল দারাজি, ওমানের চার্জ ডি অ্যাফেয়াার্স ফাথিয়া আল-বুলুশি, ইন্দোনের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স রাডেন উসমান এফেন্দি এবং মিশরের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ওআইসি সদস্য দেশগুলো গাজায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি বিশেষ করে সেখানে মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে উদ্বুত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অতীতের মতো ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। শুক্রবার সারাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য জুমার নামাজে বিশেষ মোনাজাত করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

বৈঠকে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত গাজা এবং এর আশেপাশে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নির্মমতা বিস্তারিত বর্ণনা করে বলেন, এটি একটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে এবং ইসরায়েলি বাহিনী সবচেয়ে উন্নত মার্কিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

ইউসেফ ওয়াই রমাদান বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গাজায় একটি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে, সেখানে বেশিরভাগ শিশু এবং গর্ভবতী মহিলারা। নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বিবেচনা করে খিস্টানদের দ্বারা পরিচালিত ঐ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছিল এসব শিশু ও নারী।

বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশুনা করা ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা এখন যুদ্ধক্ষেত্রে কাজ করছেন বলেও এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।