জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ফেসবুকে গুজব

  • Update Time : ১১:২৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • / 248

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচন কমিশনের বরাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তারিখ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া তথ্যের কোনও সত্যতা নেই বলে নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য ছড়িয়ে এ বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশন।

কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন নিয়ে তাদের ঘোষণা করা রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ চলছে। নির্বাচনের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

বর্তমান একাদশ সংসদের মেয়াদ প্রায় শেষ। এখন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় জাতীয় নির্বাচন হতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে। কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আর ভোট হতে পারে ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির শুরুতে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই তথ্যে বলা হয়েছে, আগামী ৯ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল, ১৯ নভেম্বর মনোনয়ন জমার শেষ দিন, ২২ নভেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, ২৯ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আর ২৩ ডিসেম্বর হবে ভোট।

ফেসবুকে যে তথ্যটি ছড়িয়েছে তা মুলত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের। ওই বছরের ৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৯শে নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২২শে নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৯শে নভেম্বর আর ভোট গ্রহণ হয় ২৩শে ডিসেম্বর।

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, ফেসবুকে নির্বাচন সংক্রান্ত যে তথ্যটি ঘুরছে তা আদৌ সত্য নয়।

আহসান হাবিব খান বলেন, ‘এটা শতভাগ গুজব। এই তথ্যের কোনো সত্যতা নেই। তবে এটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ গুজবে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয় আমি সেই অনুরোধ জানাব। কোন উদ্দেশে করাচ্ছে, কেবা করাচ্ছে এটা নিয়ে উই আর নট বদার্ড। যথাযথ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। আমরা নির্বাচনের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি সে অনুযায়ী কাজ চলছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী যথাসময়ে কমিশন তফসিল ঘোষনা করবে। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে ভোট।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে ফেসবুকে গুজব

Update Time : ১১:২৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচন কমিশনের বরাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তারিখ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া তথ্যের কোনও সত্যতা নেই বলে নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য ছড়িয়ে এ বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশন।

কমিশন জানিয়েছে, নির্বাচন নিয়ে তাদের ঘোষণা করা রোডম্যাপ অনুযায়ী কাজ চলছে। নির্বাচনের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

বর্তমান একাদশ সংসদের মেয়াদ প্রায় শেষ। এখন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় জাতীয় নির্বাচন হতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে। কমিশন এরই মধ্যে জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। আর ভোট হতে পারে ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির শুরুতে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই তথ্যে বলা হয়েছে, আগামী ৯ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল, ১৯ নভেম্বর মনোনয়ন জমার শেষ দিন, ২২ নভেম্বর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, ২৯ নভেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন আর ২৩ ডিসেম্বর হবে ভোট।

ফেসবুকে যে তথ্যটি ছড়িয়েছে তা মুলত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের। ওই বছরের ৮ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। সেবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ১৯শে নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২২শে নভেম্বর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ২৯শে নভেম্বর আর ভোট গ্রহণ হয় ২৩শে ডিসেম্বর।

নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, ফেসবুকে নির্বাচন সংক্রান্ত যে তথ্যটি ঘুরছে তা আদৌ সত্য নয়।

আহসান হাবিব খান বলেন, ‘এটা শতভাগ গুজব। এই তথ্যের কোনো সত্যতা নেই। তবে এটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ গুজবে কেউ যাতে বিভ্রান্ত না হয় আমি সেই অনুরোধ জানাব। কোন উদ্দেশে করাচ্ছে, কেবা করাচ্ছে এটা নিয়ে উই আর নট বদার্ড। যথাযথ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে। আমরা নির্বাচনের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছি সে অনুযায়ী কাজ চলছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী যথাসময়ে কমিশন তফসিল ঘোষনা করবে। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির শুরুতে ভোট।’