কুমিল্লা স্টেডিয়ামে আবাহনিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান

  • Update Time : ০৭:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • / 178

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা:

গ্যালারিতে ঐতিহ্য হারানোর হাহাকার সঙ্গী করে শুরু হয়েছিল আবাহনী-মোহামেডানের ফাইনাল মহারণ। সময় যতো গড়িয়েছে, গ্যালারিতে বেড়েছে দর্শক। কানায় কানায় পূর্ণ না হলেও উত্তেজনায় পরিপূর্ণ ছিল। গোলের পর উঠছিল গর্জন। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমেছিল ম্যাচও। ফুটবলের হারিয়ে যাওয়া সোনালী অতীত যেন কুমিল্লায় ফিরে এসেছিল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৮ গোলের রোমাঞ্চের পর শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান।

মঙ্গলবার কুমিল্লায় ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৪-৪ গোলে অমীমাংসিত ছিল মহারণ। মোহামেডানের হয়ে একাই ৪ গোল করে নায়ক হন সোলেমান দিয়াবাতে।

টাইব্রেকারে প্রথম শট নেয় মোহামেডান। সোলেমান বল জালে জড়ান। আবাহনীর হয়ে শট নেয়া রাফায়েল আগুয়েস্তোর শট ঠেকিয়ে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক বিপু। আলমগীর কবির রানা দ্বিতীয় শটে গোল করে মোহামেডানকে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখেন। আবাহনীর এমেকা লক্ষ্যভেদ করে স্কোরলাইন করেন ২-১।

ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দুরাতে ডি অলিভিয়ের মাটি কামড়ানো শটে মোহামেডানের হয়ে নিশানাভেদ করেন। এরপর সিরিয়ান ডিফেন্ডার মোহাম্মাদ ইউসেফও গোল করলে আবাহনীর আশা টিকে থাকে।

সেখান থেকে শাহরিয়ার ইমনের শট ঠেকিয়ে আবাহনীকে ম্যাচে ফেরান গোলরক্ষক শহিদুল। দানিয়েল কলিন্দ্রেসের শট বিপু ঠেকালে মোহামেডানের ডাগআউট উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। স্কোরলাইন থাকে ৩-২।

পঞ্চম ও শেষ শটে কামরুল ইসলামের কিক জালে ঢোকামাত্রই ফুটবলে মোহামেডানের নবজাগরণের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। দশ বছর পর ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম কোনো শিরোপা জিতল মতিঝিলপাড়ার দলটি।

এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের সুযোগ পায় আবাহনী। লম্বা থ্রো থেকে মোহামেডানের বক্সের ভেতর ঢুকেছিল বল। গোলরক্ষক সুজন বল ঠিকঠাক বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সেই সুযোগে হেড নেন আবাহনী অধিনায়ক রাফায়েল আগুস্তো। অল্পের জন্য বল জালে জড়ায়নি।

নবম মিনিটে উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড মুজাফফারজনের কর্নার থেকে সরাসরি আসা বল ফিস্ট করেন আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম। মিনিট দুয়েক পর বক্সের ভেতর দুর্বল শট নেন রাফায়েল কলিন্দ্রেস। লিডের সুযোগ হারায় আবাহনী।

মোহামেডানের ছন্নছাড়া মধ্যমাঠের সুযোগ নিয়ে আক্রমণে ওঠে আকাশী-নীল দলটি। বক্সের ভেতর সতীর্থ ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের কাছে বল বাড়ান এমেকা। বাঁ-পায়ে সুন্দর ফিনিশিং দেন ফাহিম। সুজন ডান পায়ে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও বল জালে জড়িয়ে গেলে ১৬ মিনিটে লিড পায় আবাহনী।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় সাদা-কালো দল। আবাহনীও খুঁজছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ। ২৯ মিনিটে কলিন্দ্রেসের ব্যাক পাসে বল পান এমেকা। বক্সের সামনে থাকা এমেকার থেকে বল পেয়ে শট নেন ফাহিম। মাটি কামড়ানো শট সুজনের ঠেকাতে তেমন সমস্যা হয়নি।

কুমিল্লায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মাঝে চলছিল খেলা। বাধ্য হয়েই রেফারি খেলোয়াড়দের সুবিধার্থে ৩১ মিনিটের সময় কুলিং ব্রেক দেন। আবাহনীর সিরিয়ান ডিফেন্ডার ইউসেফের হেড সুজন ধরে ফেলেন ৩৭তম মিনিটে। ৪১ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখের আবাহনীর সোহেল রানা।

ম্যাচের ৫২ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের দারুণ পাসে বল নিয়ে ডান পায়ে শট করেন ইমানুয়েল সানডে। সাদা-কালোর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের কিক বাইরের জালে লাগে। গোছানো আক্রমণ হানাতে থাকা মোহামেডানের হয়ে বারবার প্রতিপক্ষ ডেরায় চিন্তার কারণ হতে থাকেন জাফর। ৫৬ মিনিটে তার শট ঠেকান শহিদুল।

১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলতে নামা মোহামেডানের হয়ে স্বস্তির প্রথম গোল করেন অধিনায়ক সোলেমান। কামরুলের শট বিপদমুক্ত করতে পারেননি আলমগীর। তার ভুলের সুযোগে সোলেমান ৫৬ মিনিটে বল জড়িয়ে নিষ্প্রাণ ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান।

তিন মিনিট পর মোহামেডানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সমতায় ফেরে লড়াই। টানা দেড় মিনিটের আক্রমণের ফসলে স্কোরলাইন হয়ে যায় ২-২। পরে মুজাফফারজনের শট ঠেকান শহিদুল। খানিক পর পাসিং ফুটবলের মাঝে বল পায়ে পাওয়া জাফরের ক্রসে হেডে গোল করেন সোলেমান। নিজের জোড়া গোল করে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ান মালির ফুটবলার।

ম্যাচের ৯২ মিনিটে ইমানুয়েল সানডের শট ঝাঁপিয়ে ধরে ফেলেন আবাহনীর গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর আকাশী-নীলদের অধিনায়ক আগুস্তোর নেয়া শটে নিশ্চিত গোল ঠেকান সুজন। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বাবলুর মাপা হেড সুজন লাফিয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে মোহামেডানের ত্রাতা হয়ে ওঠেন।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সোলেমান দৌড়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। সামনে এগিয়ে এসে গোলরক্ষক শহিদুল তাকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। মহানাটকীয় ম্যাচে স্পট কিক থেকে মোহামেডান অধিনায়ক অনায়াসে গোল করে ম্যাচে নিজের সাফল্যের হালি পূর্ণ করেন।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামেন আবাহনীর এলিটা কিংসলে।

১১২তম মিনিটে রয়েলের শট সুজন অতিমানবীয় সেভ করে মোহামেডানকে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। লাফিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় হাতে ব্যথা পেয়ে অনেকক্ষণ কাতরাতে থাকেন সুজন। মাঠে নেমে ফিজিও তার হাতে ব্যান্ডেজ পরিয়ে দেন। সুজন কান্নায় ভেঙে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামেন আহসান হাবিব বিপু।

সুজনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই ১১৮ মিনিটে কলিন্দ্রেসের পাসে বল নিয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে রহমত মিয়া গোল করলে আবাহনী সমতায় ফেরে। তখন ৪-৪ স্কোরলাইন। মোজাফফরাজন ফাউলের শিকার হয়ে কাঁধে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান খানিকপর। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে কলিন্দ্রেসের হেড ঠেকান বিপু। তাতে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


কুমিল্লা স্টেডিয়ামে আবাহনিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান

Update Time : ০৭:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

সোহাইবুল ইসলাম সোহাগ, কুমিল্লা:

গ্যালারিতে ঐতিহ্য হারানোর হাহাকার সঙ্গী করে শুরু হয়েছিল আবাহনী-মোহামেডানের ফাইনাল মহারণ। সময় যতো গড়িয়েছে, গ্যালারিতে বেড়েছে দর্শক। কানায় কানায় পূর্ণ না হলেও উত্তেজনায় পরিপূর্ণ ছিল। গোলের পর উঠছিল গর্জন। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমেছিল ম্যাচও। ফুটবলের হারিয়ে যাওয়া সোনালী অতীত যেন কুমিল্লায় ফিরে এসেছিল। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৮ গোলের রোমাঞ্চের পর শ্বাসরুদ্ধকর টাইব্রেকারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মোহামেডান।

মঙ্গলবার কুমিল্লায় ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৪-৪ গোলে অমীমাংসিত ছিল মহারণ। মোহামেডানের হয়ে একাই ৪ গোল করে নায়ক হন সোলেমান দিয়াবাতে।

টাইব্রেকারে প্রথম শট নেয় মোহামেডান। সোলেমান বল জালে জড়ান। আবাহনীর হয়ে শট নেয়া রাফায়েল আগুয়েস্তোর শট ঠেকিয়ে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক বিপু। আলমগীর কবির রানা দ্বিতীয় শটে গোল করে মোহামেডানকে সুবিধাজনক অবস্থানে রাখেন। আবাহনীর এমেকা লক্ষ্যভেদ করে স্কোরলাইন করেন ২-১।

ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দুরাতে ডি অলিভিয়ের মাটি কামড়ানো শটে মোহামেডানের হয়ে নিশানাভেদ করেন। এরপর সিরিয়ান ডিফেন্ডার মোহাম্মাদ ইউসেফও গোল করলে আবাহনীর আশা টিকে থাকে।

সেখান থেকে শাহরিয়ার ইমনের শট ঠেকিয়ে আবাহনীকে ম্যাচে ফেরান গোলরক্ষক শহিদুল। দানিয়েল কলিন্দ্রেসের শট বিপু ঠেকালে মোহামেডানের ডাগআউট উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। স্কোরলাইন থাকে ৩-২।

পঞ্চম ও শেষ শটে কামরুল ইসলামের কিক জালে ঢোকামাত্রই ফুটবলে মোহামেডানের নবজাগরণের উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। দশ বছর পর ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম কোনো শিরোপা জিতল মতিঝিলপাড়ার দলটি।

এর আগে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোলের সুযোগ পায় আবাহনী। লম্বা থ্রো থেকে মোহামেডানের বক্সের ভেতর ঢুকেছিল বল। গোলরক্ষক সুজন বল ঠিকঠাক বিপদমুক্ত করতে পারেননি। সেই সুযোগে হেড নেন আবাহনী অধিনায়ক রাফায়েল আগুস্তো। অল্পের জন্য বল জালে জড়ায়নি।

নবম মিনিটে উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড মুজাফফারজনের কর্নার থেকে সরাসরি আসা বল ফিস্ট করেন আবাহনী গোলরক্ষক শহিদুল আলম। মিনিট দুয়েক পর বক্সের ভেতর দুর্বল শট নেন রাফায়েল কলিন্দ্রেস। লিডের সুযোগ হারায় আবাহনী।

মোহামেডানের ছন্নছাড়া মধ্যমাঠের সুযোগ নিয়ে আক্রমণে ওঠে আকাশী-নীল দলটি। বক্সের ভেতর সতীর্থ ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের কাছে বল বাড়ান এমেকা। বাঁ-পায়ে সুন্দর ফিনিশিং দেন ফাহিম। সুজন ডান পায়ে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও বল জালে জড়িয়ে গেলে ১৬ মিনিটে লিড পায় আবাহনী।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণের ধার বাড়ায় সাদা-কালো দল। আবাহনীও খুঁজছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ। ২৯ মিনিটে কলিন্দ্রেসের ব্যাক পাসে বল পান এমেকা। বক্সের সামনে থাকা এমেকার থেকে বল পেয়ে শট নেন ফাহিম। মাটি কামড়ানো শট সুজনের ঠেকাতে তেমন সমস্যা হয়নি।

কুমিল্লায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মাঝে চলছিল খেলা। বাধ্য হয়েই রেফারি খেলোয়াড়দের সুবিধার্থে ৩১ মিনিটের সময় কুলিং ব্রেক দেন। আবাহনীর সিরিয়ান ডিফেন্ডার ইউসেফের হেড সুজন ধরে ফেলেন ৩৭তম মিনিটে। ৪১ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখের আবাহনীর সোহেল রানা।

ম্যাচের ৫২ মিনিটে শাহরিয়ার ইমনের দারুণ পাসে বল নিয়ে ডান পায়ে শট করেন ইমানুয়েল সানডে। সাদা-কালোর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডের কিক বাইরের জালে লাগে। গোছানো আক্রমণ হানাতে থাকা মোহামেডানের হয়ে বারবার প্রতিপক্ষ ডেরায় চিন্তার কারণ হতে থাকেন জাফর। ৫৬ মিনিটে তার শট ঠেকান শহিদুল।

১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলতে নামা মোহামেডানের হয়ে স্বস্তির প্রথম গোল করেন অধিনায়ক সোলেমান। কামরুলের শট বিপদমুক্ত করতে পারেননি আলমগীর। তার ভুলের সুযোগে সোলেমান ৫৬ মিনিটে বল জড়িয়ে নিষ্প্রাণ ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান।

তিন মিনিট পর মোহামেডানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে সমতায় ফেরে লড়াই। টানা দেড় মিনিটের আক্রমণের ফসলে স্কোরলাইন হয়ে যায় ২-২। পরে মুজাফফারজনের শট ঠেকান শহিদুল। খানিক পর পাসিং ফুটবলের মাঝে বল পায়ে পাওয়া জাফরের ক্রসে হেডে গোল করেন সোলেমান। নিজের জোড়া গোল করে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ান মালির ফুটবলার।

ম্যাচের ৯২ মিনিটে ইমানুয়েল সানডের শট ঝাঁপিয়ে ধরে ফেলেন আবাহনীর গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর আকাশী-নীলদের অধিনায়ক আগুস্তোর নেয়া শটে নিশ্চিত গোল ঠেকান সুজন। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে বাবলুর মাপা হেড সুজন লাফিয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে মোহামেডানের ত্রাতা হয়ে ওঠেন।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে সোলেমান দৌড়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন। সামনে এগিয়ে এসে গোলরক্ষক শহিদুল তাকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। মহানাটকীয় ম্যাচে স্পট কিক থেকে মোহামেডান অধিনায়ক অনায়াসে গোল করে ম্যাচে নিজের সাফল্যের হালি পূর্ণ করেন।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামেন আবাহনীর এলিটা কিংসলে।

১১২তম মিনিটে রয়েলের শট সুজন অতিমানবীয় সেভ করে মোহামেডানকে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। লাফিয়ে পড়ে যাওয়ার সময় হাতে ব্যথা পেয়ে অনেকক্ষণ কাতরাতে থাকেন সুজন। মাঠে নেমে ফিজিও তার হাতে ব্যান্ডেজ পরিয়ে দেন। সুজন কান্নায় ভেঙে পড়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। বদলি গোলরক্ষক হিসেবে নামেন আহসান হাবিব বিপু।

সুজনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পরপরই ১১৮ মিনিটে কলিন্দ্রেসের পাসে বল নিয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে রহমত মিয়া গোল করলে আবাহনী সমতায় ফেরে। তখন ৪-৪ স্কোরলাইন। মোজাফফরাজন ফাউলের শিকার হয়ে কাঁধে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান খানিকপর। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে কলিন্দ্রেসের হেড ঠেকান বিপু। তাতে ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়।