ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে সন্ধ্যায়

  • Update Time : ১০:১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
  • / 120

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

১৭০ কিলোমিটার বেগে আসছে মোখা, উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে সন্ধ্যায় ক্রমশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে দেশের উপকূলীয় এলাকার সঙ্গে দূরত্ব কমছে ঘূর্ণিঝড়টির। শনিবার (১৩ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গতিতে এগোলে আজ সন্ধ্যায় কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি এলাকায় মোখঅর প্রভাব পড়তে শুরু করবে।

আজ দেওয়া ১৩ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার জায়গায় আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দেওয়া আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

মোখা আরও উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও এর কাছের উপকূলীয় এলাকায় ‘মোখা’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯টায় দেওয়া ১২ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গিয়েছিল, মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে ও কক্সবাজার থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে মোখার দূরত্ব কমছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে সন্ধ্যায়

Update Time : ১০:১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

১৭০ কিলোমিটার বেগে আসছে মোখা, উপকূলে প্রভাব পড়তে পারে সন্ধ্যায় ক্রমশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। এতে দেশের উপকূলীয় এলাকার সঙ্গে দূরত্ব কমছে ঘূর্ণিঝড়টির। শনিবার (১৩ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই গতিতে এগোলে আজ সন্ধ্যায় কক্সবাজার ও এর কাছাকাছি এলাকায় মোখঅর প্রভাব পড়তে শুরু করবে।

আজ দেওয়া ১৩ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ জন্য কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার জায়গায় আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আজ দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চর ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দেওয়া আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ১৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

মোখা আরও উত্তর-উত্তর–পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ও এর কাছের উপকূলীয় এলাকায় ‘মোখা’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

শুক্রবার (১২ মে) রাত ৯টায় দেওয়া ১২ নম্বর বিজ্ঞপ্তিতে দেখা গিয়েছিল, মোখা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে ও কক্সবাজার থেকে ৮৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে মোখার দূরত্ব কমছে।