হাসপাতালেই ভিজিট নিয়ে রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা

  • Update Time : ০৭:২৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
  • / 144

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরকারি চিকিৎসকরা আগামী ৩০ মার্চ থেকে অফিস সময়ের পর বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালু করার চেষ্টা করছি। প্রথমে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করব।’

তিনি জানান, বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দেবেন, তার বিনিময়ে তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসকরা, বাকিটা অন্যরা। সরকারও একটি অংশ পাবে।

সম্মানি নির্ধারণ বিষয়ে তিনি বলেন, চেম্বার ডিউটিতে প্রাথমিকভাবে একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের (অধ্যাপক) ফি ৫০০ টাকা, তবে তিনি পাবেন ৪০০ টাকা। সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি ৪০০ টাকা, তিনি পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপকের ফি ৩০০ টাকা, তিনি পাবেন ২০০ টাকা। এমবিবিএস চিকিৎসকের ফি ২০০ টাকা তিনি পাবেন ১৫০ টাকা। আর এসব চিকিৎসকদের যারা সহযোগিতা করবেন, তারা পাবেন ৫০ টাকা করে, শুধুমাত্র এমবিবিএস চিকিৎসকের সহকারিরা পাবেন ২৫ টাকা করে।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দু-তিন মাস ধরে ইনস্টিটিউশন প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল: এই টার্মের শুরুতেই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করা হোক। কিন্তু ডেঙ্গু ও করোনার কারণে তা আমরা শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা আস্তে আস্তে সব জেলা ও উপজেলায় শুরু করব।

সূত্র: বাসস

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


হাসপাতালেই ভিজিট নিয়ে রোগী দেখবেন চিকিৎসকরা

Update Time : ০৭:২৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরকারি চিকিৎসকরা আগামী ৩০ মার্চ থেকে অফিস সময়ের পর বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভিজিট নিয়ে রোগী দেখতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘সরকারি চিকিৎসকদের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা’ সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।

জাহিদ মালেক বলেন, আগামী ৩০ মার্চ থেকে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই প্রাতিষ্ঠানিক প্র্যাকটিস চালু করার চেষ্টা করছি। প্রথমে ১০টি জেলা ও ২০টি উপজেলা হাসপাতালে এ কার্যক্রম শুরু করব।’

তিনি জানান, বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই প্র্যাকটিস করতে পারবেন চিকিৎসকরা। এতে নার্স ও টেকনিশিয়ানরাও সপ্তাহে দুদিন করে কাজ করবেন। তারা যে সেবা দেবেন, তার বিনিময়ে তাদের সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে। তার একটি অংশ পাবেন চিকিৎসকরা, বাকিটা অন্যরা। সরকারও একটি অংশ পাবে।

সম্মানি নির্ধারণ বিষয়ে তিনি বলেন, চেম্বার ডিউটিতে প্রাথমিকভাবে একজন জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের (অধ্যাপক) ফি ৫০০ টাকা, তবে তিনি পাবেন ৪০০ টাকা। সিনিয়র কনসালটেন্টের ফি ৪০০ টাকা, তিনি পাবেন ৩০০ টাকা। সহকারী অধ্যাপকের ফি ৩০০ টাকা, তিনি পাবেন ২০০ টাকা। এমবিবিএস চিকিৎসকের ফি ২০০ টাকা তিনি পাবেন ১৫০ টাকা। আর এসব চিকিৎসকদের যারা সহযোগিতা করবেন, তারা পাবেন ৫০ টাকা করে, শুধুমাত্র এমবিবিএস চিকিৎসকের সহকারিরা পাবেন ২৫ টাকা করে।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দু-তিন মাস ধরে ইনস্টিটিউশন প্র্যাকটিস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল: এই টার্মের শুরুতেই ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করা হোক। কিন্তু ডেঙ্গু ও করোনার কারণে তা আমরা শুরু করতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা আস্তে আস্তে সব জেলা ও উপজেলায় শুরু করব।

সূত্র: বাসস