রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে: এফবিসিসিআই

  • Update Time : ০৪:০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / 152

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এফবিসিসিআই’র ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত পণ্য সামগ্রীর মজুত, আমদানি,সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ নিয়ে কথা বলেন। সভায় নিত্যপণ্যের উৎপাদক,সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি রয়েছে, ভোজ্যতেলও চাহিদার তুলনায় বেশি মজুদ আছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতির কোন শঙ্কা নেই।এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়লে ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। তবে অবৈধভাবে কেউ যেন দাম বৃদ্ধি না করে-আমরাও সে বিষয়টি মনিটারিং করবো। তিনি বলেন, কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ালে সংশ্লিষ্ট বণিক সমিতিকে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই বণিক সমিতির লাইসেন্স বাতিল করবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সহযোগিতা করা হবে।

জসীম আরও বলেন, বাজার স্থিতিশীলা রাখার জন্য ভোক্তাদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পণ্য কিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।

ব্রয়লার মুরগী বা মাংসের দাম কমাতে আগামী ২/১ মাসের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগীর যদি উৎপাদন খরচ বেশি হয়, তাহলে সরকার স্বল্প সময়ের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দিতে পারে। যাতে দাম কমে যায়।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক আহমে বলেন, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যেপণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে। রোজায় দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এ সময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন সরকার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কারণে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না। অবৈধ মুনাফা রোধকল্পে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করা জরুরি। এর জন্য নিত্যপণ্যের উপর শুল্ক কমানোর আহবান জানান তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি আমীন হেলালী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


রমজানে নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে: এফবিসিসিআই

Update Time : ০৪:০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এফবিসিসিআই’র ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ানোর সুযোগ নিতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে আয়োজিত পণ্য সামগ্রীর মজুত, আমদানি,সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ নিয়ে কথা বলেন। সভায় নিত্যপণ্যের উৎপাদক,সরবরাহকারী, ব্যবসায়ী ও ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ভোজ্যতেল, চিনি, পেঁয়াজ, খেজুরসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের আমদানি, মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ৩ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি রয়েছে, ভোজ্যতেলও চাহিদার তুলনায় বেশি মজুদ আছে। নিত্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতির কোন শঙ্কা নেই।এমন পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য ব্যবসায়ী ও ভোক্তা সবার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য বাড়লে ব্যবসায়ীদের কিছু করার থাকে না। তবে অবৈধভাবে কেউ যেন দাম বৃদ্ধি না করে-আমরাও সে বিষয়টি মনিটারিং করবো। তিনি বলেন, কোন ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দাম বাড়ালে সংশ্লিষ্ট বণিক সমিতিকে সেই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেটা না করলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওই বণিক সমিতির লাইসেন্স বাতিল করবে। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সরকারকে সহযোগিতা করা হবে।

জসীম আরও বলেন, বাজার স্থিতিশীলা রাখার জন্য ভোক্তাদেরও দায়িত্বশীল আচরণ করা প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পণ্য কিনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।

ব্রয়লার মুরগী বা মাংসের দাম কমাতে আগামী ২/১ মাসের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, ব্রয়লার মুরগীর যদি উৎপাদন খরচ বেশি হয়, তাহলে সরকার স্বল্প সময়ের জন্য মাংস আমদানির অনুমতি দিতে পারে। যাতে দাম কমে যায়।

মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারুক আহমে বলেন, চিনি ও ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যেপণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে। রোজায় দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

এ সময় কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি কাজী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করেন সরকার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করার কারণে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হচ্ছে না। অবৈধ মুনাফা রোধকল্পে বাজারকে প্রতিযোগিতামূলক করা জরুরি। এর জন্য নিত্যপণ্যের উপর শুল্ক কমানোর আহবান জানান তিনি।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি আমীন হেলালী, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।