সৌদি-ইরান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ, বৈঠকের প্রতিশ্রুতি

  • Update Time : ১১:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • / 138

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রমজানের শুরুতে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা একটি যুগান্তকারী দ্বিপাক্ষিক পুনর্মিলন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ‘শীঘ্রই’ সাক্ষাৎ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে ফোন করেন এবং তারা উভয়ে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় খোলার পথ প্রশস্ত করার জন্য শীঘ্রই একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্মত হয়েছেন।’

সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন, সৌদি ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাত বছর পর মন্ত্রীদের এই প্রত্যাশিত বৈঠকটি হতে যাচ্ছে। চীনের চমকপ্রদ মধ্যস্থতায় গত ১০ মার্চ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ঘোষণার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সৌদি আরবে শিয়া আলেম নিমর আল-নিমরের ফাঁসির পর ২০১৬ সালে ইরানি বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক মিশনগুলিতে আক্রমণ করার পরে রিয়াদ সম্পর্ক ছিন্ন করে। যা দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটি ধারাবাহিক ও দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ তৈরি করে।

এই চুক্তিতে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান এবং প্রধানত সুন্নি মুসলিম সৌদি আরব দুই মাসের মধ্যে তাদের দূতাবাস ও মিশন পুনরায় চালু করবে এবং ২০ বছরেরও বেশি আগে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইরানী এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন, যদিও রিয়াদ এখনও এই সফর নিশ্চিত করেনি।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান একই দিনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুই দেশ তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের জন্য সম্ভাব্য তিনটি স্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ এবং ইরান পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে পশ্চিমা সরকারগুলোর সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক পুননির্মাণের মাধ্যমে কয়েক দশক ধরে এই অঞ্চলে বিরাজমান অশান্তি নিরসনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


সৌদি-ইরান দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ, বৈঠকের প্রতিশ্রুতি

Update Time : ১১:৫০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

রমজানের শুরুতে ফোনে কথা বলেছেন সৌদি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা একটি যুগান্তকারী দ্বিপাক্ষিক পুনর্মিলন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ‘শীঘ্রই’ সাক্ষাৎ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে ফোন করেন এবং তারা উভয়ে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দুই মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় খোলার পথ প্রশস্ত করার জন্য শীঘ্রই একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সম্মত হয়েছেন।’

সৌদি কর্মকর্তারা বলেছেন, সৌদি ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার সাত বছর পর মন্ত্রীদের এই প্রত্যাশিত বৈঠকটি হতে যাচ্ছে। চীনের চমকপ্রদ মধ্যস্থতায় গত ১০ মার্চ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ঘোষণার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সৌদি আরবে শিয়া আলেম নিমর আল-নিমরের ফাঁসির পর ২০১৬ সালে ইরানি বিক্ষোভকারীরা সৌদি কূটনৈতিক মিশনগুলিতে আক্রমণ করার পরে রিয়াদ সম্পর্ক ছিন্ন করে। যা দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একটি ধারাবাহিক ও দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ তৈরি করে।

এই চুক্তিতে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান এবং প্রধানত সুন্নি মুসলিম সৌদি আরব দুই মাসের মধ্যে তাদের দূতাবাস ও মিশন পুনরায় চালু করবে এবং ২০ বছরেরও বেশি আগে স্বাক্ষরিত নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইরানী এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন, যদিও রিয়াদ এখনও এই সফর নিশ্চিত করেনি।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান একই দিনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুই দেশ তাদের শীর্ষ কূটনীতিকদের মধ্যে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং বৈঠকের জন্য সম্ভাব্য তিনটি স্থানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ এবং ইরান পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে পশ্চিমা সরকারগুলোর সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে রয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক পুননির্মাণের মাধ্যমে কয়েক দশক ধরে এই অঞ্চলে বিরাজমান অশান্তি নিরসনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।