বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন আন্ডারপাসের নকসা দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
- Update Time : ০৮:০৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 123
নিজস্ব প্রতিবেদক
যাত্রীদের চলাচল সহজ করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এএইচএসআইএ), বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) এবং হাজী ক্যাম্পকে যুক্ত করে সরকার একটি ‘আন্ডারপাস’ নির্মাণ করছে।
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস’ নামের এক কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এই প্রকল্পটিকে আজ গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পটির নকসা ও অন্যান্য দিক দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত চমৎকার একটি প্রকল্প। আমি যেমনটি চেয়েছি, তার সবই এখানে রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, ‘এটা অত্যন্ত চমৎকার একটি প্রকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে, একটি যুগান্তকারী ঘটনা হবে।’
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন যে- এটি বাস্তবায়িত হলে ওই এলাকাগুলোতে যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনাও হ্রাস পাবে। এছাড়াও মানুষ ট্রেন থেকে নেমেই বিমানে উঠতে পারবেন। এর পাশাপাশি পরিবেশও আরো ভাল হবে।
তিনি আরো বলেন, এটি হবে অনন্য, সুন্দর ও টেকসই একটি প্রকল্প- যাতে করে মানুষ খুব সহজেই সেবা পেতে পারে।
সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ হাজার ১৮৩ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৭০ মিটার দীর্ঘ আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পটি নির্মাণ করছে আর্মি সদরদপ্তরের ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড।
উপস্থাপনায় দেখানো হয়েছে, এই আন্ডারপাসটিতে এস্কেলেটর, এলিভেটর এবং এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, প্রাকৃতিক আলো ও ভেন্টিলেশন (বায়ু চলাচল)সহ বিমানবন্দরের মতো মালামাল পরিবহনের জন্য বগি চলাচলের সুবিধাও থাকবে।
কোন কারণে বিদ্যুৎ চলে গেলে যেন প্রাকৃতিক অক্সিজেনের প্রবাহ অব্যহত থাকে- সেজন্য এতে ভেন্টিলেশন সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এতে আটটি বহির্গমন ও প্রবেশ পথ থাকবে। একই সাথে এই আন্ডারপাসটিতে আধুনিক অগ্নিনির্বাচন পদ্ধতি ও এ জন্য প্রায় ১.১৫ লাখ লিটার পানি সংরক্ষিত থাকবে।
আন্ডারপাসের ভেতরে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।
বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি)’র চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।