মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আসছে নীতিমালা, শহরে সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিমি

  • Update Time : ১০:৫৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 161

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

মোটরসাইকেল চলাচল সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালায় শহরের রাস্তায় ঘণ্টাপ্রতি মোটরসাইকেলের গতি ৩০ কিলোমিটারের বেশি অতিক্রম করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের খসড়া নীতিমালা- ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা, ২০২৩’- এ আরও বলা হয়েছে, যেসব মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনক্ষমতা ১২৬ সিসি’র কম, সেগুলো মহাসড়কে চালানো যাবে না। এছাড়া, পেছনে আরোহী নিয়েও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না।

মূলত মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়কে দুর্ঘটনা কমানো, মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি এবং মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জন্যই এসব নিয়মনীতি উল্লেখ করে খসড়া নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ৯ সদস্যের একটি কমিটি এই খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছেন।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দূরের পথে মহাসড়কসহ সর্বত্র মোটরসাইকেলের চলাচল দেখা যায়। বিশেষ করে, উৎসবের সময় মোটরসাইকেলের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ঘটছে। এজন্য মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

মোটরসাইকেলের থেকে স্কুটি নিয়ন্ত্রণ সহজ উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, স্পোর্টি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিসম্পন্ন। এই গতির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য এসব মোটরসাইকেলের বসার আসন কিছুটা কৌণিকভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, পেছনের দিকটা উঁচু। অন্যদিকে, স্কুটি মোটরসাইকেল আরামদায়ক, জ্বালানিসাশ্রয়ী ও অপেক্ষাকৃত কম গতিসম্পন্ন। এসব মোটরসাইকেলের বসার আসন সাধারণত ভূমির সমান্তরাল হয়। সব মিলিয়ে এগুলো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে আসছে নীতিমালা, শহরে সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিমি

Update Time : ১০:৫৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

মোটরসাইকেল চলাচল সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালায় শহরের রাস্তায় ঘণ্টাপ্রতি মোটরসাইকেলের গতি ৩০ কিলোমিটারের বেশি অতিক্রম করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের খসড়া নীতিমালা- ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা, ২০২৩’- এ আরও বলা হয়েছে, যেসব মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনক্ষমতা ১২৬ সিসি’র কম, সেগুলো মহাসড়কে চালানো যাবে না। এছাড়া, পেছনে আরোহী নিয়েও মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলতে পারবে না।

মূলত মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়কে দুর্ঘটনা কমানো, মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি এবং মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জন্যই এসব নিয়মনীতি উল্লেখ করে খসড়া নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত ৯ সদস্যের একটি কমিটি এই খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছেন।

সেখানে আরও বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে দূরের পথে মহাসড়কসহ সর্বত্র মোটরসাইকেলের চলাচল দেখা যায়। বিশেষ করে, উৎসবের সময় মোটরসাইকেলের ব্যবহার বহুগুণ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ঘটছে। এজন্য মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

মোটরসাইকেলের থেকে স্কুটি নিয়ন্ত্রণ সহজ উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, স্পোর্টি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিসম্পন্ন। এই গতির সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য এসব মোটরসাইকেলের বসার আসন কিছুটা কৌণিকভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, পেছনের দিকটা উঁচু। অন্যদিকে, স্কুটি মোটরসাইকেল আরামদায়ক, জ্বালানিসাশ্রয়ী ও অপেক্ষাকৃত কম গতিসম্পন্ন। এসব মোটরসাইকেলের বসার আসন সাধারণত ভূমির সমান্তরাল হয়। সব মিলিয়ে এগুলো সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।