আইএমএফ ঋণ: যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে ডিসেম্বরেই

  • Update Time : ০২:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 161

ডেস্ক নিউজ: 

আইএমএফ বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ এসডিআর (স্পেশাল ড্রইং রাইটস) অনুমোদন করা হয় সোমবার, আর বাংলাদেশ ঋণের প্রথম কিস্তি হাতে পেয়েছে বৃহস্পতিবার। মোট সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে এই ঋণ ছাড় করবে সংস্থাটি।

ঋণ অনুমোদনের পর আইএমএফ উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় এই ঋণ সহায়তা করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে এই ঋণ।

তবে এই ঋণ এসেছে কিছু শর্তের অধীনে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আইএমএফ এসব শর্ত তুলে ধরেছে তাদের প্রতিবেদনে।

শর্তের ভেতর রয়েছে- ৯ আর ৬ এর যে সুদের হারের সীমা সেটি তুলে নিতে হবে। একই সাথে অর্থবছরে জিডিপি তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে হবে কমপক্ষে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। কেবল তাই নয়, প্রতিবছর জিডিপির দশমিক ৫০ শতাংশ হারে রাজস্ব বৃদ্ধির নীতি অর্থ মন্ত্রণালয়কে গ্রহণ করতে হবে আগামী জুনের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময়ে রাতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে সংস্থাটি আরও বলেছে, ঋণ কর্মসূচি চলাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুশাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, রাজস্ব স্বচ্ছতা আনা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে এসব বহু শর্ত পূরণের শর্তে আইএমএফ যে গত সোমবার রাতে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার তার প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম কিস্তির পরিমাণ ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় সংস্থাটি প্রথম কিস্তি ছাড় করলো আন্তর্জাতিক এ সংস্থা।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে জ্বালানি পণ্যের সময়ভিত্তিক সূত্রসহ মূল্য সমন্বয়ের পদ্ধতি চালু করতে হবে বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি। পাশাপাশি, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে মোট দেশজ উৎপাদনের তথ্য প্রকাশ করতে হবে তিন মাস পরপর, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এছাড়া, অর্থ মন্ত্রণালয়কে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট চালু করতে হবে।

এছাড়া আরও বলা হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এমন নীতি নিতে হবে, যাতে ২০২৬ সালের মধ্যে জাতীয় বাজেটের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের এক–চতুর্থাংশ আসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আইএমএফ ঋণ: যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে ডিসেম্বরেই

Update Time : ০২:৪৩:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ডেস্ক নিউজ: 

আইএমএফ বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪৭০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ এসডিআর (স্পেশাল ড্রইং রাইটস) অনুমোদন করা হয় সোমবার, আর বাংলাদেশ ঋণের প্রথম কিস্তি হাতে পেয়েছে বৃহস্পতিবার। মোট সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে এই ঋণ ছাড় করবে সংস্থাটি।

ঋণ অনুমোদনের পর আইএমএফ উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় এই ঋণ সহায়তা করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, তা বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে এই ঋণ।

তবে এই ঋণ এসেছে কিছু শর্তের অধীনে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) আইএমএফ এসব শর্ত তুলে ধরেছে তাদের প্রতিবেদনে।

শর্তের ভেতর রয়েছে- ৯ আর ৬ এর যে সুদের হারের সীমা সেটি তুলে নিতে হবে। একই সাথে অর্থবছরে জিডিপি তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে হবে কমপক্ষে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। কেবল তাই নয়, প্রতিবছর জিডিপির দশমিক ৫০ শতাংশ হারে রাজস্ব বৃদ্ধির নীতি অর্থ মন্ত্রণালয়কে গ্রহণ করতে হবে আগামী জুনের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময়ে রাতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে সংস্থাটি আরও বলেছে, ঋণ কর্মসূচি চলাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুশাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, রাজস্ব স্বচ্ছতা আনা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে এসব বহু শর্ত পূরণের শর্তে আইএমএফ যে গত সোমবার রাতে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার তার প্রথম কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম কিস্তির পরিমাণ ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনের তিন দিনের মাথায় সংস্থাটি প্রথম কিস্তি ছাড় করলো আন্তর্জাতিক এ সংস্থা।

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারকে জ্বালানি পণ্যের সময়ভিত্তিক সূত্রসহ মূল্য সমন্বয়ের পদ্ধতি চালু করতে হবে বলে উল্লেখ করে সংস্থাটি। পাশাপাশি, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে মোট দেশজ উৎপাদনের তথ্য প্রকাশ করতে হবে তিন মাস পরপর, যা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এছাড়া, অর্থ মন্ত্রণালয়কে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এনবিআরের কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিট চালু করতে হবে।

এছাড়া আরও বলা হয়েছে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এমন নীতি নিতে হবে, যাতে ২০২৬ সালের মধ্যে জাতীয় বাজেটের অভ্যন্তরীণ অর্থায়নের এক–চতুর্থাংশ আসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে।