আদানি পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ধস
- Update Time : ০২:০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / 158
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
মাত্র ১০ দিন আগেও ভারতের ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সাম্রাজ্যকে মনে হচ্ছিল অজেয় ও অপ্রতিরোধ্য।
জ্বালানি থেকে বন্দর ব্যবসা—সবকিছুতেই চরম সফল তিনি। কিন্তু গবেষণা সংস্থার একটি প্রতিবেদনেই নাস্তানাবুদ এ ধনকুবের। আদানি এখন তার করপোরেট জীবনের সবচেয়ে খারাপ সংকটের সঙ্গে লড়ছেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের গ্রহণযোগ্য গন্তব্য হিসেবে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সবচেয়ে জরুরি ও ভয়াবহ প্রশ্নটিরও জন্ম দিয়েছেন।
হিনডেনবার্গ রিসার্চ ২৪ জানুয়ারির একটি প্রতিবেদনে জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ আনার পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের বাজার মূল্য কমেছে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। চলতি সপ্তাহে এ টাইকুন যখন ২৪০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি বাতিল করেন, তখন অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের সম্ভাবনাগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অবস্থান ফেরাতে আদানির যুক্তিগুলো বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেস্ক তালিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি থেকে ২১-এ নেমে এসেছেন তিনি।
লাইভ মিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান পরিস্থিতি মূলত আদানি গ্রুপের করপোরেট শাসন সম্পর্কে পুরনো সন্দেহগুলোকেই পুনরুজ্জীবিত করেছে। ১০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ভারতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে বড় পরিসরে ক্ষুণ্ন করে। প্রতিবেদনের দাবিগুলো সত্য প্রমাণিত হোক বা না হোক ভারতের মতো দেশের নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ও হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা গ্লোবাল সিআইওর সিঙ্গাপুর অফিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি ডুগান বলেন, ‘ভারতীয় ইক্যুইটিতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ঝুঁকির সম্ভাবনাগুলো বড় ধরনের পুনর্মূল্যায়নসহ অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।’