মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • Update Time : ১২:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 183

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ত্রিশালের ৬ জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবব্যুনাল।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- সুলতান মাহমুদ সীমন ও তাপস কান্তি বল। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন- গাজী এম এইচ তামিম।

মামলার আসামিরা হলেন মোখলেছুর রহমান মুকুল (৬৫), মো. সাইদুর রহমান রতন (৫৬), সামসুল হক বাচ্চু (৭০), শামছুল হক ফকির (৭৫), নুরুল হক ফকির (৭০), সুলতান ফকির ওরফে সুলতান মাহমুদ (৫৮), এবিএম মুফাজ্জল হুসাইন (৭০) ও নকিব হোসেন আদিল সরকার (৬৫)।

এর আগে, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাইয়ে ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে শান্তি ও রাজাকার বাহিনী। ওই সময় কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন। এ কারণে ইউনুছ আলীকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান ২০-২৫ জন। নির্যাতনের পর ৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে।

এসব অভিযোগে পরে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ফরমাল চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে ওইদিনই দুপুরে বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ত্রিশালের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ১২:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ত্রিশালের ৬ জনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবব্যুনাল।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন- সুলতান মাহমুদ সীমন ও তাপস কান্তি বল। আর আসামিদের পক্ষে ছিলেন- গাজী এম এইচ তামিম।

মামলার আসামিরা হলেন মোখলেছুর রহমান মুকুল (৬৫), মো. সাইদুর রহমান রতন (৫৬), সামসুল হক বাচ্চু (৭০), শামছুল হক ফকির (৭৫), নুরুল হক ফকির (৭০), সুলতান ফকির ওরফে সুলতান মাহমুদ (৫৮), এবিএম মুফাজ্জল হুসাইন (৭০) ও নকিব হোসেন আদিল সরকার (৬৫)।

এর আগে, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর এই মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাইয়ে ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে শান্তি ও রাজাকার বাহিনী। ওই সময় কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন। এ কারণে ইউনুছ আলীকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান ২০-২৫ জন। নির্যাতনের পর ৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে।

এসব অভিযোগে পরে আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ফরমাল চার্জগঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে ওইদিনই দুপুরে বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।