অ্যাপলের দাম কমেছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার

  • Update Time : ০২:৪১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • / 167

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইতিহাসে প্রথম কোনো কোম্পানি হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের মার্কেট ক্যাপ ৩ ট্রিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছিল। কিন্তু এক বছরের মাথায়ই কোম্পানিটির মার্কেট ক্যাপিং ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি কমে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের নিচে এসে গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্য হারানোর ধারাবাহিকতায় সবশেষ মঙ্গলবারও অ্যাপলের শেয়ার কমেছে ৪ শতাংশ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চীনের কারখানায় কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল; যার পরিপ্রেক্ষিতে ফোন ছাড়াও এয়ারপড, অ্যাপল ওয়াচ ও ম্যাকবুকের উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে। ফলে চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অ্যাপলের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগে অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মডেলগুলোর চাহিদা থাকার পরও চীনের সরবরাহকারীর কোভিড সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে প্রত্যাশার তুলনায় কম শিপমেন্ট হবে বলে মনে করছে।

যদিও অ্যাপলের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণেই কমেছে। তবে অন্য বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো শতকরা হারে অ্যাপলের থেকে আরও বেশি মূল্য হারিয়েছে। গত বছরের তুলনায় অ্যামাজন ও ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার শেয়ারের দাম যথাক্রমে প্রায় ৫০ ও ৬৩ শতাংশ কমেছে। সেই তুলনায় অ্যাপলের কমেছে মাত্র ৩১ শতাংশ।

চীন করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। ফলে সামনের দিনগুলোয়ে অ্যাপলের উৎপাদনে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া অ্যাপলের পাইপলাইনে এ বছর অনেক প্রোডাক্টই রয়েছে। ফলে চলতি বছরে কোম্পানিটির পক্ষে মার্কেট ক্যাপিং পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব কিছু নয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


অ্যাপলের দাম কমেছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার

Update Time : ০২:৪১:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ইতিহাসে প্রথম কোনো কোম্পানি হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক বহুজাতিক প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেটেডের মার্কেট ক্যাপ ৩ ট্রিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছিল। কিন্তু এক বছরের মাথায়ই কোম্পানিটির মার্কেট ক্যাপিং ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি কমে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের নিচে এসে গেছে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল্য হারানোর ধারাবাহিকতায় সবশেষ মঙ্গলবারও অ্যাপলের শেয়ার কমেছে ৪ শতাংশ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে চীনের কারখানায় কিছু বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছিল; যার পরিপ্রেক্ষিতে ফোন ছাড়াও এয়ারপড, অ্যাপল ওয়াচ ও ম্যাকবুকের উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে। ফলে চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে অ্যাপলের মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

এর আগে অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আইফোন ১৪ প্রো এবং আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স মডেলগুলোর চাহিদা থাকার পরও চীনের সরবরাহকারীর কোভিড সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে প্রত্যাশার তুলনায় কম শিপমেন্ট হবে বলে মনে করছে।

যদিও অ্যাপলের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণেই কমেছে। তবে অন্য বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো শতকরা হারে অ্যাপলের থেকে আরও বেশি মূল্য হারিয়েছে। গত বছরের তুলনায় অ্যামাজন ও ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার শেয়ারের দাম যথাক্রমে প্রায় ৫০ ও ৬৩ শতাংশ কমেছে। সেই তুলনায় অ্যাপলের কমেছে মাত্র ৩১ শতাংশ।

চীন করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। ফলে সামনের দিনগুলোয়ে অ্যাপলের উৎপাদনে আর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া অ্যাপলের পাইপলাইনে এ বছর অনেক প্রোডাক্টই রয়েছে। ফলে চলতি বছরে কোম্পানিটির পক্ষে মার্কেট ক্যাপিং পুনরুদ্ধার করা অসম্ভব কিছু নয়।