বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠছে কাল, অংশ নিচ্ছে ১০ দেশের প্রতিষ্ঠান

  • Update Time : ১১:০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 174

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৭তম আসরের পর্দা উঠছে কাল। মেলার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, উদার বিনিয়োগ নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। তিনি মেলার সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ শুধু পণ্যই আমদানি করে না, মানসম্পন্ন পণ্য বিদেশেও রপ্তানি করে। বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের ব্র্যান্ড করার এখন উপযুক্ত সময়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা দেশীয় পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতে এবং দেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশি পণ্য সম্পর্কে অবহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এদিকে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিমসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০ দেশের ১৭ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মেলার মাধ্যমে আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান। এতে পণ্যের মানও উন্নত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ মেলার মূল উদ্দেশ্য। আমাদের পণ্যের মান উন্নত এবং মূল্য কম হওয়ায় প্রতিবছর রপ্তানি বাড়ছে। গত বছরও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য। অল্পদিনের মধ্যে এ খাতের রপ্তানি ৪-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আশা করছি। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বিশ্ববাজারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট থাকবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো সার্টেল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

টিপু মুনশি আরও বলেন, মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media


বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠছে কাল, অংশ নিচ্ছে ১০ দেশের প্রতিষ্ঠান

Update Time : ১১:০৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ) ২৭তম আসরের পর্দা উঠছে কাল। মেলার প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার এ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, উদার বিনিয়োগ নীতির কারণে বাংলাদেশ এখন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। তিনি মেলার সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ শুধু পণ্যই আমদানি করে না, মানসম্পন্ন পণ্য বিদেশেও রপ্তানি করে। বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের ব্র্যান্ড করার এখন উপযুক্ত সময়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা দেশীয় পণ্য বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতে এবং দেশি উদ্যোক্তাদের বিদেশি পণ্য সম্পর্কে অবহিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

এদিকে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিমসহ সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ১০ দেশের ১৭ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ মেলার মাধ্যমে আমাদের তৈরি পণ্য দেশি-বিদেশি সবার কাছে তুলে ধরার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান। এতে পণ্যের মানও উন্নত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ মেলার মূল উদ্দেশ্য। আমাদের পণ্যের মান উন্নত এবং মূল্য কম হওয়ায় প্রতিবছর রপ্তানি বাড়ছে। গত বছরও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আরও ১০টি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য। অল্পদিনের মধ্যে এ খাতের রপ্তানি ৪-৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আশা করছি। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বিশ্ববাজারে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট থাকবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো সার্টেল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

টিপু মুনশি আরও বলেন, মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়ের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি হলের বাইরে ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।