স্পোর্টস ডেস্কঃ

পর্তুগালের ফুটবল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাদোকে ঘিরে এতোদিন যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, তা সত্যি হলো। সাবেক এই ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড খেলোয়াড় সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। সৌদি আরবের সংবাদ মাধ্যমসূত্রে এই খবর প্রকাশ করেছে সিএনবিসি।

আল আরাবিয়া একটি টুইটে দাবি করেছে, ‘সৌদি আরবের আল-নাসের আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে দুই বছরের জন্য চুক্তি করেছে।’

কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন পর্তুগালের কোচ এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান সিআরসেভেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তি বিচ্ছেদ হয় তার। রোনালদো হয়ে যান ফ্রি এজেন্ট।

বিশ্বকাপের সময়ই শোনা গিয়েছিল, সৌদির ক্লাব আল নাসেরে যাচ্ছেন এই পর্তুগীজ তারকা। তবে এই প্রসঙ্গে ধোঁয়াশাই রেখেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, আল নাসের নিয়ে তিনি ভাবেননি না। বিশ্বকাপ শেষ হতেই আবার খবরের কেন্দ্রে সিআর সেভেন।

এরিক টেন হ্য়াগ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পরই কড়া হাতে দলের রাশ টেনেছিলেন। তার কাছে সব খেলোয়াড়র সমান। যাকে যে পজিশনে, যেভাবে প্রয়োজন, সে ভাবেই খেলাবেন। তারকা, অতীত পরিসংখ্য়ান নিয়ে মাথা ঘামাননি ম্য়ান ইউ কোচ।

সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। তার মধ্যে রোনালদোর ফর্ম না থাকায় বহু ম্যাচেই তাকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হয়েছে। হাতে গোনা কিছু ম্য়াচে পরিবর্ত হিসেবে নামানো হয়েছিল তাকে। যা মানতে পারেননি পর্তুগীজ তারকা। তবে কোচের পাশে ছিল ক্লাব।

কাতার বিশ্বকাপের আগে পিয়ার্স মরগ্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্লাব সম্পর্কে নানা মন্তব্য করেন রোনালদো। দাবি করেন, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

ঝামেলার জেরে বিশ্বকাপের মধ্যেই ম্যান ইউয়ের সঙ্গে তাই বিচ্ছেদ হয় রোনালদোর। যাইহোক ইউরোপের কোনও ক্লাবে সে অর্থে ঠাঁই না পেয়ে, এশিয়ার ক্লাবেই শেষমেষ পাড়ি জমালেন রোনালদো।

আল নাসেরের ক্রীড়া পরিচালক মার্সেলো সালাজার এর আগে ধোঁয়াশা রেখে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘আমার হ্যাঁ বা না বলার অনুমতি নেই। আসুন অপেক্ষা করি বছরের শেষ পর্যন্ত এবং কীভাবে কী ঘটে, তাই দেখতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যা বলতে পারি, তা হল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ফুটবল ইতিহাসের সেরাদের একজন। একজন অ্যাথলেট হিসেবে তিনি সব সময়েই আমার কাছে উদাহরণ হয়ে আছেন। তবে সবটা সঠিক সময়ে প্রকাশিত হবে।’