বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীর দুদিনের রিমান্ড, কারাগারে ৪৪৫ জন

  • Update Time : ১০:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 192

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের পর বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন আজ এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া বিএনপির ৪৪৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা।

বৃহস্পতিবার মতিঝিল ও পল্টন থানার দুটি মামলায় বিএনপির ২৪ জন নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। এর মধ্যে পল্টন থানার মামলায় ১৫ জনের সাত দিন রিমান্ড চাওয়া হয়। আর মতিঝিল থানার মামলায় নয়জনের সাত দিন রিমান্ড চাওয়া হয়।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে পল্টন থানার মামলায় ১৪ জনের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর মতিঝিল থানার মামলায় ৯ জনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতা–কর্মীদের বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখন ঢাকার সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকের সামনে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। আদালতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

বুধবার বিকাল ৩টার দিকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলি, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

বিকাল ৪টার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সামনের সড়কে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা এ্যানি ও জুয়েলকে তুলে নিয়ে যান।

অন্যদিকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালামসহ শতা‌ধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

পরে বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তিন হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার বিকাল পর্যন্ত ৪৮০ জনকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media


বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীর দুদিনের রিমান্ড, কারাগারে ৪৪৫ জন

Update Time : ১০:৫৩:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের পর বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) তোফাজ্জল হোসেন আজ এ আদেশ দেন।

এ ছাড়া বিএনপির ৪৪৫ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা।

বৃহস্পতিবার মতিঝিল ও পল্টন থানার দুটি মামলায় বিএনপির ২৪ জন নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। এর মধ্যে পল্টন থানার মামলায় ১৫ জনের সাত দিন রিমান্ড চাওয়া হয়। আর মতিঝিল থানার মামলায় নয়জনের সাত দিন রিমান্ড চাওয়া হয়।

উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে পল্টন থানার মামলায় ১৪ জনের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আর মতিঝিল থানার মামলায় ৯ জনের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এর আগে রাজধানীর নয়াপল্টনে থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির নেতা–কর্মীদের বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখন ঢাকার সিএমএম আদালতের প্রধান ফটকের সামনে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। আদালতে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।

বুধবার বিকাল ৩টার দিকে নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর গুলি, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

বিকাল ৪টার পর পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সামনের সড়কে আসেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা এ্যানি ও জুয়েলকে তুলে নিয়ে যান।

অন্যদিকে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালামসহ শতা‌ধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।

পরে বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তিন হাজারের বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার বিকাল পর্যন্ত ৪৮০ জনকে গ্রেপ্তার করার খবর পাওয়া গেছে।