আগস্টে রপ্তানিতে রেকর্ড

  • Update Time : ০৪:৪১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / 173

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কোভিড পরিস্থিতি ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক এই মহা সংকটের মধ্যেও আগস্ট মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৪৬০ কোটি ৭০ লাখ (৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছে বাংলাদেশের। এই অঙ্ক গত বছরের আগস্টের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার বেশি ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে রোববার এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির দেওয়া তথ্য মতে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে আগস্টে ৩৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় ১২২ কোটি ৪০ ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে এ বছর। অন্যদিকে এ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি ছিল।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস শেষে দেশের রপ্তানি আয়ে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। দুই মাস মিলিয়ে মোট রপ্তানি হয়েছে ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।

ইপিবির হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে এসেছে ৭১১ কোটি ২৬ লাখ (৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন) ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

দুই মাসে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।

একই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৩২ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ শতাংশ। আর পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে প্রায় ২০৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) একই মাসের চেয়ে প্রায় ১২.৬ শতাংশ বেশি। তবে এটি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৭ কোটি ডলার কম। গত বছরের আগস্টে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৮১ কোটি ডলার। এই হিসাবে গত বছরের আগস্টের তুলনায় এ বছরের আগস্টে প্রবাসীরা ২৩ কোটি ডলার বেশি পাঠিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media


আগস্টে রপ্তানিতে রেকর্ড

Update Time : ০৪:৪১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কোভিড পরিস্থিতি ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক এই মহা সংকটের মধ্যেও আগস্ট মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি করে ৪৬০ কোটি ৭০ লাখ (৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছে বাংলাদেশের। এই অঙ্ক গত বছরের আগস্টের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার বেশি ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে রোববার এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির দেওয়া তথ্য মতে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে আগস্টে ৩৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় ১২২ কোটি ৪০ ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে এ বছর। অন্যদিকে এ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি ছিল।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস শেষে দেশের রপ্তানি আয়ে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। দুই মাস মিলিয়ে মোট রপ্তানি হয়েছে ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।

ইপিবির হালনাগাদ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে তৈরি পোশাক রফতানি থেকে এসেছে ৭১১ কোটি ২৬ লাখ (৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন) ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যের চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।

দুই মাসে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি।

একই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৩২ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ শতাংশ। আর পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, যেখানে প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে প্রায় ২০৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা আগের অর্থবছরের (২০২১-২২) একই মাসের চেয়ে প্রায় ১২.৬ শতাংশ বেশি। তবে এটি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের চেয়ে ৭ কোটি ডলার কম। গত বছরের আগস্টে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৮১ কোটি ডলার। এই হিসাবে গত বছরের আগস্টের তুলনায় এ বছরের আগস্টে প্রবাসীরা ২৩ কোটি ডলার বেশি পাঠিয়েছেন।