সম্রাটের জামিন বাতিলের আদেশ বহাল
- Update Time : ১০:২৩:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
- / 218
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের করা আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে তার জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল থাকলো।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয় গত সোমবার (৮ আগস্ট)। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
আদালতে ওইদিন সম্রাটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদনের শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বারজজ আদালত। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার সেটি আদেশের জন্য রাখেন আদালত।
এর আগে গত ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাতদিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গত ২৩ মে হাইকোর্টের দেওয়া সেই আদেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।
গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত। এরপর জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করে দুদক।
এ মামলায় জামিন পাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধে করা আরও তিনটি মামলায় জামিন পান তিনি। চারটি মামলার সবকটিতেই জামিন পাওয়ায় গত ১১ মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে কারামুক্তি পান সম্রাট।
রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। পরের বছর ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।